হলিউডের সবচেয়ে সুন্দরী নারী অড্রে হেপবার্ন
গত শতকের ৫০ এবং ৬০-এর দশকে হলিউড মাতিয়েছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন৷ মানবসেবায়ও তিনি অনন্য ছিলেন৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
জন্ম-মৃত্যু
১৯২৯ সালের ৪ঠা মে বেলজিয়ামে জন্মগ্রহণ করেন অড্রে হেপবার্ন৷ তবে তাঁর নাগরিকত্ব ছিল ব্রিটেনের৷ ছয়টি ভাষা জানতেন এই হলিউড অভিনেত্রী৷ ইংরেজি, ডাচ, ফ্রেঞ্চ, ইটালিয়ান, স্প্যানিশ ও জার্মান৷ ১৯৯৩ সালের ২০শে জানুয়ারি বিরল এক ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি৷ সুইজারল্যান্ডের এক ছোট্ট শহরে তাঁকে সমাহিত করা হয়৷ ঐ শহরেই তিনি জীবনের অনেকটা সময় কাটিয়েছিলেন৷
রাতারাতি তারকা
১৯৫৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘রোমান হলিডে’ ছবিটি দেখেননি এমন সিনেমাপ্রেমী দর্শক খুঁজে পাওয়া মুশকিল৷ তারকা অভিনেতা গ্রেগরি পেকের সঙ্গে অভিনয় করা অড্রে হেপবার্ন এই মুভির জন্য অস্কারও পেয়েছিলেন৷
ফ্যাশন আইকন
‘ব্রেকফাস্ট অ্যাট টিফানিস’ ছবিতে হেপবার্নের পরা কালো পোশাক আর চুলের স্টাইল বিশ্বের নারীদের মন জয় করেছিল৷ সেসময় অনেকেই সেরকমভাবে নিজেদের সাজাতেন৷
সবচেয়ে সুন্দরী নান
দৃশ্যটি ১৯৫৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য নান’স স্টোরি’ মুভির৷ কিছু চলচ্চিত্র সমালোচকের মতে, এই ছবিতেই অড্রে হেপবার্ন সবচেয়ে ভালো কাজ দেখিয়েছেন৷ কারণ নান হওয়ার কারণে বিভিন্ন অভিব্যক্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে তাঁকে সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়েছে৷
কমেডি চরিত্রে
১৯৬৬ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হাও টু স্টিল এ মিলিয়ন’ মুভিতে হেপবার্ন তাঁর কমেডি চরিত্রে অভিনয় করার দক্ষতা দেখাতে পেরেছেন৷ ঐ ছবিতে তাঁর বাবার চরিত্রটি একজন নকল শিল্পকর্মের ডিলারের৷ আর হেপবার্নের নায়ক একজন গোয়েন্দা৷ এই দুই বিপরীতধর্মী চরিত্রের সঙ্গে হেপবার্নের মেলামেশা নিয়েই মুভিটি তৈরি হয়েছে৷
মানবদরদি হেপবার্ন
শুধু অভিনয় আর রূপ দিয়ে যে তিনি সকলের মন জয় করেছিলেন তা নয়, মানবসেবায়ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তিনি৷ জাতিসংঘের হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিশুদের নিয়ে কাজ করেছেন তিনি৷ হেপবার্নের কাজের প্রতি সম্মান জানাতে নিউ ইয়র্কে ইউনিসেফ-এর সদর দপ্তরে একটি প্রতিমূর্তি স্থাপন করেছে জাতিসংঘ৷
রিকশাচালক অড্রে হেপবার্ন!
হ্যাঁ, ঢাকায় গিয়ে তিনি রিকশা চালিয়েছিলেন৷ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ইউনিসেফ-এর দূত হয়ে ১৯৮৯ সালের শুরুতে ঢাকায় গিয়েছিলেন বলে ব্রিটিশ এই হলিউড অভিনেত্রী৷ সেসময় ছোট ছাত্র-ছাত্রীদের রিকশায় বসিয়ে চালকের আসনে হেপবার্নের ছবিও প্রকাশিত হয়েছিল৷
অড্রে হেপবার্ন ও রবীন্দ্রনাথ
হেপবার্নের অন্যতম প্রিয় কবিতা ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘অনন্ত প্রেম’৷ অবশ্যই সেটার ইংরেজি অনুবাদ, যার নাম ‘আনএন্ডিং লাভ’৷ তাই তো হেপবার্নের মৃত্যুর পর তাঁর বন্ধু ও রোমান হলিডে ছবিতে হেপবার্নের নায়ক গ্রেগরি পেক কান্নাভেজা চোখে কবিতাটি আবৃত্তি করেছিলেন৷
শেখ হাসিনা অড্রে হেপবার্ন!
অন্তত কবি হেলাল হাফিজের কাছে একসময় তেমনই ছিলেন শেখ হাসিনা৷ ইত্তেফাক পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কবি জানান, ৬০-এর দশকে তিনি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন তখন শেখ হাসিনাকে দেখতে তাঁর কাছে অড্রে হেপবার্নের মতো মনে হতো৷ দূর থেকে অনেক সময় তিনি শেখ হাসিনাকে নাকি ঐ নামে ডেকেওছেন৷ এখনকার প্রধানমন্ত্রী নাকি তখন কোনো জবাব না দিয়ে কেবল হাসতেন!