‘হলিউড’কে রক্ষায় আর মাত্র তিন সপ্তাহ
২৫ মার্চ ২০১০ঘটনা হলো, বেশ কিছু দিন আগে হলিউডের এই বিখ্যাত নামফলকের আশপাশের ১৩৮ একর জায়গা কিনে নেয় শিকাগোর একটি কোম্পানি৷ তারা সেখানে বিলাসবহুল বাড়ি তৈরির অনুমতিও পেয়ে যায়৷ কিন্তু বাধ সাধে লস এঞ্জেলেসের লোকেরা৷ ‘সিটি অব এঞ্জেলস' নামে পরিচিত লস এঞ্জেলেস এর নাম মনে হলেই প্রথম যে ছবিটা মনে ভেসে ওঠে সেটা হচ্ছে এই হলিউড নামফলক৷ তাই এতদিনের ঐতিহ্য রক্ষায় তৎপর হয়ে ওঠেন অনেকে৷ এক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে আসে ‘ট্রাস্ট ফর পাবলিক ল্যান্ড' নামে একটি সংগঠন৷ তারা ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দর কষাকষির চেষ্টা চালায়৷ শিকাগোর ওই কোম্পানি এই গোটা জায়গাটির জন্য প্রথমে ২২ মিলিয়ন ডলার দাবি করে৷ কিন্তু পরে জনগণের অনুভূতি ও ঐতিহ্যের কথা মনে করে তারা সাড়ে ১২ মিলিয়ন ডলারে আপোশে আসে৷ তবে তারা সময়সীমা বেধে দেয় যে এই অর্থ আগামী ১৪ এপ্রিলের মধ্যে দিতে হবে৷
এরপর থেকেই চলছে অর্থ সংগ্রহের কাজ৷ হলিউডের এই ঐতিহ্যকে রক্ষায় ‘ট্রাস্ট ফর পাবলিক ফান্ড' অর্থ সংগ্রহের জন্য সাধারণ মানুষ ছাড়াও নামি দামি লোকের সাহায্য চায়৷ এবং তাতে সাড়াও পাওয়া গেছে বেশ৷ স্টিভেন স্পিলবার্গ এবং টম হ্যাংকস এর মত তারকারা মোটা অংকের চাঁদা দিয়েছেন হলিউডের ঐতিহ্যবাহী এই নামফলকটিকে ব্যবসায়ীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য৷ এদিকে বুধবার পর্যন্ত সাড়ে নয় মিলিয়ন ডলার অর্থ সংগ্রহ বলে জানিয়েছেন লস এঞ্জেলেস এর কাউন্সিল মেম্বার টম লাবঙ্গে৷ এর মধ্যে চার মিলিয়ন এসেছে জনগণের প্রদত্ত অর্থ এবং বাকিটা বিভিন্ন দাতাদের কাছ থেকে৷ লাবঙ্গে বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যের অনেক কাছে চলে এসেছি, তবে আমাদের আরও কাজ করতে হবে৷' আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে যে করেই হোক আরও তিন মিলিয়ন ডলার জোগাড় করতে হবে এখন বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত নামফলকটিকে রক্ষা করতে৷
হলিউডের এই নামফলকটি স্থাপিত হয় ১৯২৩ সালে৷ তখন স্থানীয় হলিউডল্যান্ড নামে একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পনির নামফলক হিসেবে এটি বসানো হয়৷ কিন্তু পরবর্তীতে হলিউডের অন্যতম আইকন হিসেবে বিশ্বজোড়া খ্যাতি পেয়ে যায় এই নামফলকটি৷ ইংরেজিতে হলিউড শব্দের মোট নয়টি অক্ষরের প্রতিটি ফলক ৪৫ ফুট উঁচু৷ বহুদূর থেকেই এই নামফলকটি দেখা যায়৷ হলিউডে নির্মিত মুভি এবং সিরিয়ালে এই নামফলকটি একটি স্বাভাবিক দৃশ্য৷
প্রতিবেদক: রিয়াজুল ইসলাম, সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন