1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হংকং’এ রমরমিয়ে চলছে কোচিং সেন্টারের ব্যবসা

১ জুন ২০১১

জনপ্রিয় টেলিভিশন তারকাদের মতো কোটিপতি শিক্ষক-শিক্ষিকারা হংকং’এ নিজেদের কোচিং সেন্টারে অভিনব উপায়ে ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণ করে চলেছেন৷

https://p.dw.com/p/11RwY
Tens of thousands of people attend a candlelight vigil at Hong Kong's Victoria Park Friday, June 4, 2010, to mark the 21st anniversary of the June 4th Chinese military crackdown on the pro-democracy movement in Beijing. (AP Photo/Kin Cheung)
রাতের হংকংছবি: AP

পরীক্ষা পাশ করতে, ভালো নম্বর পেতে ছাত্রছাত্রী বা তাদের বাবা-মায়েরা কী না করে? ভারত-বাংলাদেশে ছোট-ছোট স্কুল ছাত্রছাত্রীদের পিঠে কয়েক মণ ওজনের ব্যাগ ও চোখে বিশাল চশমা দেখলে সেবিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যায়৷ স্কুল ছাড়াও বাড়িতে আলাদা মাস্টার, কোচিং ক্লাস, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সম্পর্কে আগেভাগে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা – কোনো পথই বাকি রাখে না তারা৷ তবে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, এমন প্রবণতা দেখা যায় হংকং'এও৷

হংকং'এর শিক্ষা ব্যবস্থার হাড্ডাহাড্ডি প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে সেখানকার ছাত্রছাত্রীরাও এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে৷ সেই অবস্থার সুযোগ নিচ্ছেন কিছু শিক্ষক৷ কোটিপতি এই সব শিক্ষক-শিক্ষিকারা প্রায় চলচ্চিত্র তারকাদের মতো খ্যাতির শীর্ষে উঠে গেছেন৷ বিশাল হোর্ডিং'এ তাদের ছবি দেখা যায়, যাতে হাসিমুখে তারা ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করছেন৷ যে কোনো সাধারণ ছাত্রকে তারা সেরা ছাত্র হিসেবে তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেন নিজেদের বিজ্ঞাপনে৷ বাসের গায়েও শোভা পায় তাদের বিশাল পোস্টার৷ অর্ধেকের বেশি স্কুলছাত্রই স্কুলের পর কোচিং সেন্টারে ছোটে৷ পরীক্ষা পাশ করা ও ভালো নম্বর পাওয়াই গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে৷ এজন্য তাদের বাবা মায়েরাও মোটা টাকা গুনতে প্রস্তুত৷ তাদের কাছে এটা একটা বিশাল বিনিয়োগ৷

হংকং'এ কোচিং ব্যবসার রমরমার একটা চিত্র পাওয়া যাচ্ছে৷ বছরে ৫ কোটি ডলারের বেশি লেনদেন হয় এই ব্যবসায়৷ এক একজন শিক্ষক এমনকি ১৫ লক্ষ ডলারও আয় করেন৷ ছাত্রছাত্রীদের কাছে তারা প্রায় সাক্ষাৎ ঈশ্বরের মতো৷ তাদের অনেকেই ‘টিউটর কিং' নামে পরিচিত৷ তারা ফেরারির মতো দামী গাড়ি চাপেন, শহরের অভিজাত এলাকায় বিশাল অট্টালিকায় তাদের বাস৷ শৌখিন এই সব শিক্ষকের কব্জিতে শোভা পায় দামী ঘড়ি, আঙটি ইত্যাদি৷ প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ছাত্রছাত্রী কোচিং সেন্টারে যোগ দেয়৷ ফলে এই ব্যবসায় মন্দার কোনো আশঙ্কা নেই বললেই চলে৷

এই সব কোচিং সেন্টারের শিক্ষা পদ্ধতিও দেখার মতো৷ কাচের দেওয়াল দেওয়া ক্লাসঘরে সর্বোচ্চ ৪৫ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নিতে পারে৷ পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড'এর মাধ্যমে তাদের শিক্ষা দেওয়া হয়৷ শিক্ষক নয়, টেলিভিশনের জনপ্রিয় সঞ্চালকের মতোই আচরণ করেন শিক্ষকরা৷ স্কুলের সাধারণ ক্লাসের পর ক্লান্ত ছাত্রছাত্রীরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে মডেল'দের মতো দেখতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের দিকে তাকিয়ে থাকে৷ এমনকি একজন শিক্ষক অনলাইনে নিজস্ব সোপ অপেরাও দেখাতে শুরু করেছেন৷ ছাত্র আকর্ষণের নিত্যনতুন পন্থা তাদের অভিনব করে তুলছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল ফারূক