আমি সেই পুরনো স্মৃতি মনে করে আজও পুরনো বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলি৷ এভাবেই লিখেছেন বিধান চন্দ্র টিকাদার, জলিরপাড়, গোপালগঞ্জ থেকে পাঠিয়েছেন এই ই-মেলটি৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মূল লক্ষ্য ডয়চে ভেলে
দুই প্রজন্মের দুই দেশের দু’জন শ্রোতাবন্ধু৷ ডয়চে ভেলের অনুষ্ঠান শোনার মধ্য দিয়ে যাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে৷ হুগলি জেলার প্রয়াত বন্ধু মদন গোপাল মুখার্জী , যিনি বাংলা অনুষ্ঠানের শুরুর সময় থেকেই ডয়চে ভেলের সাথে ছিলেন৷ যার চিঠির প্রায় পুরোটা জুড়েই থাকতো অনুষ্ঠান বিষয়ে গঠনমূলক সমালোচনা৷ যা কর্মীদের অনুষ্ঠান সাজাতে ভাবাতো৷ মদনের বাড়িতে গোপালগঞ্জের বন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার অনুষ্ঠান বিষয়ে আলোচনা করছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
একসাথে রেডিও শুনবো
প্রায় ১৫ বছর আগে পাঠানো একটি ছবি, তখন এভাবেই ডয়চে ভেলে অনুষ্ঠানের ভক্ত বন্ধুরা গ্রামে সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে একসাথে শর্টওয়েভ-এ তাদের প্রিয় অনুষ্ঠান শুনতেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ক্লাবগুলোর মধ্যে একতা
কপিলমুনি, খুলনার সুন্দরবন ইন্টারন্যাশনাল যে ক্লাবটি গঠিত হয়েছিলো প্রায় ২২ বছর আগে৷ ছবিতে ক্লাবের সভাপতি আরশাদ আলী বিশ্বাস, বিকাশ রঞ্জন ঘোষকসহ অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে করা হয়েছিলো বিশাল আয়োজন যাতে অংশ নিয়েছিলো সে সময়ের বেশ কয়েকটি সক্রিয় ক্লাব৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলেকে চিঠি লিখতে চাই নীরবতা
১৯৯৪ সালে পাঠানো ছবিতে দেখা যাচ্ছে কুড়িগ্রামের শাপলা শর্টওয়েভ শ্রোতাসংঘের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মাষ্টারকে৷ যিনি নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনে আমাদের কাছে তার মূল্যবান মতামত পাঠাতেন লম্বা লম্বা চিঠিতে৷ শর্টওয়েভ বন্ধ হয়ে যাবার পর তাঁকে আমরা সেভাবে আর না পেলেও একেবারে হারিয়ে যাননি ডয়চে ভেলে থেকে৷ মাঝে মধ্যে ছোট্ট করে এসএমএস-এ জানিয়ে দেন তিনি আছেন আমাদের সাথে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
মনে পড়ে ছাত্র জীবনের কথা
কুষ্টিয়ার ফ্রেন্ডস রেডিও লিসনার্স ক্লাব, বর্তমানে যে ক্লাবটি ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব ঢাকা নামে পরিচিত৷ প্রায় ১৩ বছর আগে ক্লাবের সভাপতি সোহেল রানা হৃদয় যখন ছাত্রাবস্থায় ছিলেন তখন ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে তোলা এই ছবিটি পাঠিয়েছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
যানবাহনেও ডয়চে ভেলে
সুর সংলাপ রেডিও ক্লাব, যশোরের বন্ধু মো.মুজিবুল হক এই ছবিটি পাঠিয়েছেন ১৯৯৯ সালে৷ রাস্তায় গাড়িতে গাড়িতে ডয়চে ভেলের স্টিকার লাগিয়ে এভাবেই ক্লাবের সদস্যরা ডয়চে ভেলেকে আরো পরিচিত করিয়েছেন, জনপ্রিয় করেছেন৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
ডয়চে ভেলে থেকে পাওয়া উপহার
কালিগঞ্জ, ঝিনাইদহের দিশারী রেডিও শ্রোতাসংঘের পক্ষ থেকে শ্রোতাবন্ধু শামীম উদ্দিন ডয়চে ভেলেকে জনপ্রিয় করতে আয়োজন করেছিলেন একটি প্রতিযোগিতার৷ বিজয়ীদের অন্যান্য পুরস্কারের পাশাপাশি ডয়চে ভেলে থেকে পাঠানো উপহারও তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
সবকিছুতেই ডয়চে ভেলে
মুর্শিদাবাদের কয়েকটি ক্লাব মিলে আন্তর্জাতিক বেতার প্রদর্শনী ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিলো, লক্ষ্য ডয়চে ভেলেকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া৷ ছবিতে বিজয়ী বন্ধু আরতি মজুমদার, ( যিনি ডয়চে ভেলেকে নিয়ে বিস্মৃত ডাক নামে বইও লিখেছেন৷ সহিদুল হকও অন্যান্যদের দেখা যাচ্ছে৷ ছবিটি পাঠিয়েছেন শ্রোতাবন্ধু বিশ্বনাথ মণ্ডল ১০৯৯ সালে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
পুরানো সেই দিনের কথা
এ ছবিটিও ১৯৯৯ সালে তোলা ডয়চে ভেলের চিঠিপত্র বিভাগে কর্মীদের নিয়ে৷ তখন এভাবেই ডাকে শ্রোতাবন্ধুদের চিঠি এসে পাহাড় জমে যেতো৷ ছবিতে নুরুননাহার সাত্তার সহ হিন্দি, ইংরেজি এবং ইন্দোনেশীয় ভাষার কর্মীদের দেখা যাচ্ছে চিঠিপত্র বিভাগের প্রধান ড.অলিভার স্যোলনারকে৷
-
‘ফিরে দেখা – ডাকে আসা চিঠির যুগ’
আজকের প্রযুক্তি
আগের ছবিগুলো ১০ থেকে ২০ বছরের পুরনো৷ দেখাই যাচ্ছে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে কলকাতার বন্ধু স্বপন চক্রবর্তী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন৷ ছবিতে এই মিষ্টি মেয়েটি শ্রোতাবন্ধু স্বপনের ‘সৃষ্টি’৷
লেখক: নুরুননাহার সাত্তার
- ভাই বিধান, যা চলে গেছে তা নিয়ে তো আর ভেবে লাভ নেই বরং যা আছে বা নতুন হচ্ছে সেসব নিয়ে আলোচনা করলেই মনে হয় ভালো লাগবে৷ আপনি নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইট দেখেন জেনে ভালো লাগে৷ তাই আগে যেমন অনুষ্ঠান শুনতে অন্যদের উৎসাহিত করতেন, এখন ঠিক সেভাবেই অন্য বন্ধুদের ওয়েবসাইট পড়তে এবং আমাদের টিভি অনুষ্ঠান ‘অন্বেষণ' দেখতেও উৎসাহিত করতে পারেন৷ অনুরোধ করতে পারেন তাঁদের, আমাদের সাথে যোগাযোগ করতেও৷ ভালো থাকবেন এবং শুভেচ্ছা নেবেন আপনি ও আপনার বন্ধু ও পরিবারের সবাই৷
প্রাণপ্রিয় বন্ধু, সবকিছু মিলিয়ে ডয়চে ভেলের ওয়েবসাইট খুবই ভালো লাগে৷ আমরা জানি আপনাদের অনেক নারী পাঠক শ্রোতা আছে, তাই নারীদের জন্য রান্না, শিক্ষা ও নারী উন্নয়নমূলক বিষয়গুলো সংযোজন করবেন৷ এভাবেই অনুরোধ করেছেন পাবনা থেকে ডা. এস এম এ হান্নান৷
- ভাই হান্নান, নারী বিষয়ক অনেক কিছুই কিন্তু থাকে আমাদের ওয়েবসাইটে৷ তবে হ্যাঁ, জার্মানদের মজার মজার খাবারের রান্না নিয়ে আলোচনা বা রেসিপি দেওয়া যেতে পারে আগামীতে৷ একটি কথা কিন্তু এখানে না বললেই নয় যে, আজকের যুগে রান্না কিন্তু শুধু আর মেয়েদের ব্যাপার নয়৷ জার্মানিতে অনেক পুরুষই আজ-কাল নিয়মিত রান্না করেন৷
- ধন্যবাদ দু'জনকেই লেখার জন্য, এভাবেই সাথে থাকবেন, কেমন?
সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ