1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্মার্ট সিটি: চালাক শহর

রিশার্ড ফুক্স/এসি১০ জুন ২০১৩

২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যার চার-পঞ্চমাংশ বাস করবে মেগাসিটিগুলিতে৷ তাদের পানি-বিদ্যুৎ সরবরাহ করাটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে৷ সাহায্য করবে তথ্য প্রযুক্তি, বিদ্যুতের ‘বুদ্ধিমান’ গ্রিড ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি৷

https://p.dw.com/p/18mDD
ছবি: Fraunhofer ISE

সৌরশক্তি সংক্রান্ত গবেষণা চলে ফ্রাইবুর্গের ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটে৷ ভবিষ্যতের ইলেকট্রিক গ্রিড বা বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রণালী কেমন হবে, তাই নিয়েই গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্মার্ট এনার্জি ল্যাবে৷ বিভাগটির নাম হলো ‘বুদ্ধিমান জ্বালানি প্রণালী' বিভাগ৷ এখানেই ভবিষ্যতের একটি বসতবাড়ির মডেল তৈরি করা হয়েছে, যার কেন্দ্রবিন্দু হল জ্বালানি শক্তি ও বাড়ি গরম রাখার তাপ উৎপাদন করার একটি খুদে চুল্লি৷

চুল্লি এই কারণে যে, ভবিষ্যতে আর বড় বড় চুল্লিতে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে না৷ প্রতিটি বাড়িতে তার নিজস্ব চুল্লি থাকবে বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন করার জন্য৷ বাড়ির ছাদে থাকবে সোলার প্যানেল কিংবা ছোট ছোট উইন্ড টার্বাইন৷ বাড়ির নীচে সেলারে থাকবে হিট পাম্প – বায়োগ্যাস কি জ্বালানি কাঠ দিয়ে চালানো এমন একটি চুল্লিও থাকতে পারে, যা যুগপৎ বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপন্ন করবে৷

Intelligente Energiesysteme
ছবি: Fraunhofer ISE

ফ্রাউনহোফার ইনস্টিটিউটের ল্যাবোরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যে তাপ সৃষ্টি হয়, তার মাধ্যমে পানি গরম করে সেই জ্বালানি শক্তি ধরে রাখা যায় কিনা৷ তা আবার সরাসরি গরম পানি হিসেবেও ব্যবহার করা চলবে৷ অপরদিকে ছাদের উপর সোলার প্যানেল কিংবা উইন্ড টার্বাইন যখন কাজ করছে না – সূর্যের আলো কিংবা বাতাস নেই বলে – তখন সেই ঘাটতি পূরণ করার জন্য আগে থেকে ধরে রাখা জ্বালানি শক্তি ব্যবহার করা চলবে৷ এটাই হল ‘বুদ্ধিমান জ্বালানি প্রণালী'৷

চালাক শহর কখনো নিষ্প্রদীপ হবে না

ভবিষ্যতের ‘স্মার্ট গ্রিডে' বিভিন্ন উৎস থেকে সৃষ্ট জ্বালানি শক্তি, সেই জ্বালানি শক্তির ভ্রাম্যমান ও স্থায়ী স্টোরেজ, গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুৎ কি তাপের বিভিন্ন দাম, এই সব মিলিয়ে গোটা সরবরাহ প্রণালীতে স্থিতিশীলতার ব্যবস্থা করা হবে৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানির একটা বড় সমস্যা হলো, তার সরবরাহের কোনো নিশ্চয়তা নেই৷ ঠিক সেই অনিশ্চয়তা দূর করতেই এই স্মার্ট গ্রিড৷

Intelligente Energiesysteme
ভবিষ্যৎ স্মার্ট গ্রিডের মডেলছবি: Fraunhofer ISE

অন্যদিকে সোলার প্যানেল থেকে যে বিদ্যুৎ আসে, তা হলো ডিসি বা ডাইরেক্ট কারেন্ট৷ তাকে এসি বা অলটারনেটিং কারেন্টে পরিণত করার ইনভার্টারগুলি ভবিষ্যতের স্মার্ট গ্রিডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বলে ফ্রাউনহোফার বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস৷ কোনো কারণে গ্রিডে ভোল্টেজ পড়ে গেলে তারা আরো বেশি বিদ্যুৎ ছাড়তে পারবে৷ ফ্রাউনহোফার বিজ্ঞানীরা বলছেন, একটি ইনভার্টার হয়ত গোটা এলাকা কিংবা শহরের ব্ল্যাকআউট রুখতে পারবে না, কিন্তু বহু বাড়ির বহু ছোট ছোট ইনভার্টার মিলে তা করতে পারবে৷

স্মার্ট সিটিতে হাজার হাজার ইলেকট্রিক মোটরগাড়ি চলবে৷ তাদের ব্যাটারিগুলোতে বাড়তি বিদ্যুৎ ধরে রাখার কথাও ভাবছেন ফ্রাউনহোফার বিজ্ঞানীরা – নাকি স্বপ্ন দেখছেন?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য