1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্পোর্টস কার যখন সাইকেল!

২২ জুন ২০১৭

পর্শে বা ফেরারি গাড়ির নাম শুনলেই দ্রুত গতি, অনবদ্য ডিজাইনের কথা মনে আসে৷ কিন্তু সেই সব গাড়ির চরিত্র বদলে নতুন এক রূপ দিচ্ছেন অস্ট্রিয়ার এক শিল্পী৷

https://p.dw.com/p/2f9kg
ছবি: DW

স্পোর্টস কার অনেক পুরুষেরই স্বপ্ন৷ শক্তি, ক্ষমতা ও গতির প্রতীক৷ কিন্তু অস্ট্রিয়ার লিনৎস শহরে রেসে নামলে এক পর্শে গাড়িকে পেছনে ফেলে সাইকেলও এগিয়ে যায়৷ কারণ ১৫০ কিলো ওজনের এই গাড়িটিতে কোনো ইঞ্জিনই নেই! হানেস লাঙেডার তাঁর পেশিশক্তি দিয়ে সেই গাড়ি ঠেলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘ধীরে চলতে পারার মধ্যে অবশ্যই একটা আলাদা আরাম রয়েছে৷ এ এক দারুণ বিলাসিতা৷ আমার মতে, দ্রুত চলার থেকে ধীরে চলা আরও বড় বিলাসিতা৷ সবাই সবসময় দ্রুত চলতে চায় এবং সেটাই করে৷ তবে ধীরে চলাই কিন্তু আসল বিলাসিতা৷''

স্বপ্নের এই গাড়ির সোনালি মোড়কের নীচে মূল্যবান উপকরণ রয়েছে৷ শিল্পী ও ভাস্কর হিসেবে তিনি প্লাস্টিকের পাইপ ও সেলোটেপ দিয়ে চলমান ভাস্কর্য গড়ে তুলেছেন৷ হানেস লাঙেডার বলেন, ‘‘আমি আসলে চাকাওয়ালা হাতি তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যাতে চড়ে শহর ঘোরা যায়৷ খোঁজখবর নিয়ে দেখলাম, নির্দিষ্ট প্রস্থের বেশি এমন এক সাইকেল নিয়ে সাইকেলের জন্য বরাদ্দ পথে চালানোর নিয়ম নেই৷ অর্থাৎ গাড়ির পথই ব্যবহার করতে হবে৷ তখন আইডিয়াটা এলো৷ এমন কিছু করি, যার সঙ্গে গাড়ির মিল রয়েছে৷''

স্পোর্টস কারের চরিত্র বদল!

এভাবেই এই পর্শে সৃষ্টি হলো – যার পোশাকি নাম জিটিথ্রি আরএস৷ এই শিল্পসৃষ্টি গাড়িকে ঘিরে ভক্তদের যে ‘কাল্ট' রয়েছে, তা পুরোপুরি একাত্ম করতে চায়৷ একইসঙ্গে সেটি আবার সামাজিক-পরিবেশবাদী একটা বার্তাও বটে৷ ইউরোপের মিউজিয়ামগুলি তাঁর গ্যারেজে পরিণত হয়েছে৷ যেমন লিনৎস শহরের সমসাময়িক ও আধুনিক শিল্প মিউজিয়াম৷

পর্শে গাড়ির ক্ষেত্রে তিনি যেমনটা করেছেন, ঠিক সেভাবেই তিনি এক ফেরারি গাড়িরও নতুন রূপ দিয়েছেন৷ তৈলচিত্র ও ভাস্কর্যের মধ্যে শোভা পাচ্ছে সেটি৷ হানেস লাঙেডার বলেন, ‘‘আমার কাজ ছবি নিয়ে, শিল্প নিয়ে৷ সেই প্রেক্ষাপটেই আমি সৃষ্টির কাজ করি৷ গাড়ির জগত থেকেও অনেক ফিডব্যাক এসেছে৷ আমি যে আসলে কী, আমিই তা জানি না – মোটর রেস ড্রাইভার না শিল্পী?''

হানেস লাঙেডার-এর সৃষ্টি ফ্যার্ডিনান্ড স্টুটগার্ট শহরের পর্শে কারখানায় প্রদর্শিত হয়েছে৷ ফ্রাংকফুর্ট শহরের আন্তর্জাতিক গাড়ি প্রদর্শনীতেও সেটি দেখা গেছে৷ ব্রিটেনের ‘টপ গিয়ার' অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছেন৷ লাঙেডার নিজেই এক বিজ্ঞাপন ভিডিও তৈরি করে এই গাড়ি সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করেছিলেন৷

ইন্টারনেটে সেটি ৩০ লক্ষেরও বেশি ক্লিক পেয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটারের বেশি গতি হলেই পেছনের রেয়ার উইং অ্যাক্সেলের উপর বিশাল চাপ সৃষ্টি করে৷ সামনে থেকে বাতাস ঢোকার ব্যবস্থা থাকায় চালক ও তার পাশের আসনে বসে ঘেমে যাবার ভয় নেই৷ আসন প্রয়োজনমতো উপর-নীচ করা যায়৷ রিকাম্বেন্ট সাইকেলের প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে সেগুলি তৈরি হয়েছে, যাতে পায়ের উপর কোনো চাপ না পড়ে৷ তবে অর্থের কথা ভেবে গাড়িতে কোনো ইঞ্জিন রাখা হয় নি৷''

পেশিশক্তিচালিত যান হওয়ায় ফ্যার্ডিনান্ড অস্ট্রিয়ার শহরগুলির কেন্দ্রস্থলেও চলার সুযোগ পায়৷ পথচারীদের জন্য নির্দিষ্ট এলাকায় সেটি চললে কেউ আপত্তি করে না৷ এই শিল্পকর্ম দিয়ে হানেস লাঙেডার সম্পূর্ণ নতুন ধারার এক যান সৃষ্টি করেছেন৷ তিনি নিজেও সেটি প্রায়ই ব্যবহার করেন৷

গেয়ারহার্ড  সনলাইটনার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য