1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

স্কাইপ ব্যবহারের সুযোগ কমে যাচ্ছে চীনে

২০ জানুয়ারি ২০১১

বিশ্বে কোন দেশে সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়? না, অ্যামেরিকা নয় দেশটি চীন৷ প্রায় ৪৫ কোটি মানুষ নিয়মিত ইন্টারনেটের সেবা গ্রহণ করছে চীনে৷ তবে স্বাধীনভাবে নয়৷ কারণ, বেশ কিছু বিষয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার৷

https://p.dw.com/p/zzx6

এ বছরের শুরুতে চীনা সরকার জানায় যে, স্কাইপের ব্যবহার সীমিত করা হবে৷ অবশ্য কীভাবে তা হবে - তা এখনও জানানো হয়নি৷ জানানো হয়নি তার কারণও৷ তবে দেশটির তথ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে – যে বা যারা অবৈধভাবে স্কাইপের সেবা প্রদান করছে, তাদের আটকাতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে৷

অনেকেই প্রশ্ন করেছেন গুগলের পর এবার কি তাহলে স্কাইপই মূল লক্ষ্য? ঝাং ইয়ুফান নিয়মিত স্কাইপ ব্যবহার করেন আর ইন্টারনেট ছাড়া তো চলতেই পারেন না৷ তিনি বললেন, ‘‘আমার পরিচত যারা বিদেশে থাকে বা কাজ করে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হল ইন্টারনেট এবং স্কাইপ৷ আর যে সব বাবা-মায়েরা তাঁদের ছেলে-মেয়েদের বিদেশে পাঠিয়েছেন পড়াশোনার জন্য, তাদের বেলায়তেও ঐ একই কথা খাটে৷ আমি যখন স্কাইপ ব্যবহার শুরু করি, তখন আমার বান্ধবী অন্য একটি দেশে ছিল৷ প্রতিদিন অন্তত দু'ঘন্টা আমরা স্কাইপের মাধ্যমে কথা বলতাম৷ এখন যদি স্কাইপ বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে আমাকে অন্য একটা পথ খুঁজতে হবে যোগাযোগের জন্য৷ আমার প্রয়োজন একটি প্রক্সি সার্ভারের৷ সেটা যে কোন দেশে হলেই হবে৷ তবে সেটা কাজ না করলে সত্যিই বন্ধ হয়ে যাবে যোগাযোগ৷''

Google China
গুগলের পর এবার কি স্কাইপ চীনা সরকারের লক্ষ্য?ছবি: picture alliance/dpa

ইন্টারনেট এবং স্কাইপ ছাড়া টেলিফোনে নিয়মিত বিদেশে কথা বলেন প্রায় দুই কোটি চীনা৷ তবে তা বেশ ব্যয় সাপেক্ষ৷ চীন থেকে অ্যামেরিকায় কথা বলতে প্রতি মিনিটে খরচ পড়ে ৮০ সেন্ট৷ অথচ স্কাইপের সাহায্যে কথা বলতে লাগে মাত্র দুই সেন্ট৷ আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের মাত্র চারটি বড় শহরে স্কাইপ, গুগল, এমএসএন-এর সেবা প্রদান করা হচ্ছে৷ এই সেবা প্রদান করে যাচ্ছে কয়েকশ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান৷

অনেকই মনে করছেন চাইলেও চীনা সরকার স্কাইপের ব্যবহার বন্ধ করতে পারবে না৷ একটি সংস্থা বন্ধ করলে সঙ্গে সঙ্গে আরো দশটি সংস্থা এই সেবা প্রদান শুরু করবে৷ আর এভাবেই স্কাইপ টিকে থাকবে চীনে৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ