সৌরশক্তি চালিত বিমানে দুনিয়া ঘোরা
সৌরশক্তি চালিত বিমানে করে দুনিয়ার চারপাশটা ঘুরতে চায় সুইজারল্যান্ডের ব্যারত্রঁ পিকার ও তাঁর সহযোগীরা৷
বেলুনের পর বিমান
সুইজারল্যান্ডের ব্যারত্রঁ পিকার এর আগে গরম বায়ুর বেলুনে করে সারা দুনিয়া ঘুরেছেন৷ এবার তাঁর ইচ্ছা সৌরশক্তি চালিত বিমানে করে সেই কাজটা করা৷
ছোট ও হালকা
যে প্লেনে করে পিকার আপাতত পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করছেন তার ওজন ১,৬০০ কেজি৷ এতে শুধু পাইলট বসতে পারেন৷ আর এর রয়েছে দুটো বড় ডানা৷ উল্লেখ্য, একটি ‘এয়ারবাস ৩৪০’ বিমানের ওজন ১২৫ টন৷
লম্বা ডানাই ভরসা
হালকা এই বিমানে বড় দুটো ডানা থাকার কারণ তাতে অনেকগুলো সৌরকোষ বসানো যায়, প্রায় ১২ হাজার৷ এর ফলে যে সৌরশক্তি উৎপন্ন হয় তা দিয়ে প্লেনটি চারটি মোটর আর প্রপেলার কাজে লাগিয়ে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার বেগে চলতে পারে৷
সম্মিলিত প্রচেষ্টা
পিকার তাঁর স্বপ্ন পূরণে ‘সোলার ইমপালস’ নামের একটি প্রকল্পের কাজ শুরু করেন ২০০৩ সালে৷ সেই থেকে প্রায় ৫০ জন বিশেষজ্ঞ আর ১০০ জন উপদেষ্টার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রকল্পটি এগিয়ে চলেছে৷ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে৷ পিকারের সঙ্গে সহযোগী পাইলট হিসেবে রয়েছেন অঁদ্রে বর্শব্যার্গ (ডানে)৷
বর্তমান অবস্থা
পুরো দুনিয়া ঘোরার আগে ধাপে ধাপে এগোচ্ছে প্রকল্পটি৷ বর্তমানে বিমানটি অ্যামেরিকার সান ফ্রান্সিসকো থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছে৷ প্রায় ৫ হাজার কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিতে বিমানটি চারটি শহরে থামবে৷ মে মাসের ৩ তারিখে যাত্রা শুরু করা প্লেনটি জুলাইয়ের কোনো এক সময় নিউ ইয়র্কে পৌঁছাবে৷
নতুন রেকর্ড
যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দেয়ার দ্বিতীয় ধাপে বিমানটি রেকর্ড গড়েছে৷ ফিনিক্স থেকে ডালাস যেতে প্লেনটি ১,৫৪১ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেয় - যেটা একসঙ্গে এতো দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার একটি রেকর্ড৷ এতে সময় লাগে প্রায় ২০ ঘণ্টা৷ পুরো সময়টা জেগে ছিলেন পাইলট বর্শব্যার্গ৷
লক্ষ্য ২০১৫
যুক্তরাষ্ট্র পর্ব শেষ হওয়ার পর পিকার ও তাঁর সহযোগীদের লক্ষ্য ২০১৫ সালে বিশ্বভ্রমণ শুরু করা৷ তবে তার আগে বর্তমান প্লেনটিতে পরিবর্তন আনতে হবে বলে মনে করেন বর্শব্যার্গ৷ কেননা এখনকার বিমানে পাইলটের বসার স্থানটি খুবই ছোট৷
জ্বালানি সাশ্রয়
আপাতত বিশেষ এই বিমানের যাত্রী বলতে শুধু একজন পাইলট হলেও ভবিষ্যতে যেন সৌরচালিত বিমান যাত্রী বহন করতে পারে সেই স্বপ্ন দেখেন পিকার৷ তিনি বলেন, বর্তমানে মাত্র এক ঘণ্টায় এক বিলিয়ন টন তেল ব্যবহৃত হচ্ছে৷ এভাবে চলতে থাকলে একদিন সমস্ত জ্বালানি ফুরিয়ে যাবে৷