সোমালিয়ার উপকূলে শতাধিক ভারতীয় নাবিক অপহৃত
৩০ মার্চ ২০১০এডেন উপসাগর দিয়ে যাবার সময়ে এই নাবিকদেরকে তাদের নৌকাসহ অপহরণ করে জলদস্যুরা৷ এরা সকলেই ভারতের গুজরাট রাজ্যের অধিবাসী বলে জানা যাচ্ছে৷ গত কয়েকদিনের মধ্যে তাদেরকে অপহরণ করা হয় বলে বার্তা মাধ্যমগুলোর খবর৷
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অপহরণের এই ঘটনাগুলোর বিষয়ে এখনো তাদের কাছে বিস্তারিত কোন তথ্য নেই৷ তবে তারা এই ঘটনার তদন্তে নেমেছেন৷ ভারতীয় নৌবাহিনী এই ঘটনা তদন্তে আন্তর্জাতিক ম্যারিটাইম কর্তৃপক্ষ এবং সোমালিয়া উপকূলের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে৷
মনে করা হচ্ছে অপহরণকারীরা জিম্মি জেলেদের সেশেলস দ্বীপের কাছাকাছি কোন এক স্থানে আটক করে রেখেছে৷ তবে তাদের মুক্তি জন্য কোন মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
এদিকে, সেশেলস-এর পরিবহণ ও পরিবেশমন্ত্রী জোয়েল মর্গান জানিয়েছেন যে সোমবার এক বন্দুক যুদ্ধের পর তাদের কোস্ট গার্ডের সদস্যরা গভীর সমুদ্র থেকে সেশেলস-এর অপহৃত ৬ নাগরিক এবং ২১ ইরানী কে উদ্ধার করেছে৷ আটক করা হয়েছে জলদস্যুদের৷ তিনি জানান, সেশেলস-এর কাছাকাছি সমুদ্র উপকূল থেকে সপ্তাহান্তে জিম্মি করা হয় এই জেলেদের৷ সংবাদটি গত সোমবার তাদের কাছে আসে৷ এর আগেই তারা সংবাদ পেয়েছিলেন ইরানি জেলেদের জিম্মি হবার৷ সোমবার অপারেশন শুরু করার পর কোস্ট গার্ড সফলতা পায়৷
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে সোমালিয়াতে গৃহযুদ্ধ শুরু হবার পরপরই কিছু সোমালি মাছ ধরার নৌকা চুরি করা শুরু করে৷ একে ছিঁচকে জলদস্যুতার সঙ্গে তুলনা করা যায়৷ ফলে সে সময় ঐ ছিঁচকে দস্যুদের নিয়ে তেমন কারও মাথা ব্যথা ছিল না৷ কিন্তু এরাই এক সময় হয়ে ওঠে সংগঠিত, আধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত ভয়ংকর জলদস্যু বাহিনী৷ গভীর সাগরে মাদারশিপ এবং সেখান থেকে পরিচালিত স্পিডবোট, ভারী যন্ত্রপাতি, স্যাটেলাইট টেলিফোন যন্ত্রপাতি এবং মুক্তিপণের জন্য বিদেশে মধ্যস্থতাকারী নিয়ে কাজকারবার – সবই রয়েছে তাদের৷
২০০৮ সালে জুন মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে আন্তর্জাতিক নৌবাহিনীর জলদস্যুদের সোমালিয় নৌ-সীমানায় ধাওয়া করা এবং জলদস্যুদের জাহাজগুলোকে ডুবিয়ে দেয়ার আইন পাশ করা হয়৷
প্রতিবেদন: সাগর সরওয়ার
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন