1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেবিট-এ উপস্থিত বাংলাদেশ

আরাফাতুল ইসলাম, হানোফার থেকে১১ মার্চ ২০১৪

বিশ্বের সবচেয়ে বড় তথ্য-প্রযুক্তি মেলা সেবিট-এ বাংলাদেশের উপস্থিতি ক্রমশই বাড়ছে৷ চলতি বছর দশটির বেশি প্রতিষ্ঠান হানোফারে অনুষ্ঠিত মেলায় অংশ নিয়েছে৷ রয়েছেন একাধিক সরকারি কর্মকর্তাও৷

https://p.dw.com/p/1BN0N
Deutschland CeBIT IT-Sicherheit
ছবি: picture-alliance/dpa

জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সেবিট-এর উদ্ভোধনী ঘোষণা করেন রবিবার (০৯.০৩.২০১৪) বিকেলে৷ এ সময় তিনি ইউরোপের সকল দেশের জন্য একই ধরনের তথ্য সুরক্ষা নীতি তৈরির দিকে গুরুত্বারোপ করেন৷ পাশাপাশি মার্কিন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার নজরদারি বিষয়ক বিতর্ক নিয়ে সেদেশের সঙ্গে জার্মানির আলোচনা চলছে বলেও জানান৷

চলতি বছর সেবিট-এর আনুষ্ঠানিক সহযোগী দেশ ব্রিটেন৷ তাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ম্যার্কেলের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ তিনি তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে ইন্টারনেট এবং তথ্য-প্রযুক্তি খাতের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে এখাতের উন্নয়নে গবেষণার জন্য ৮৮ মিলিয়ন ইউরো বরাদ্দের ঘোষণা দেন৷

Cebit 2014 Cameron Merkel
জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন..ছবি: Reuters

বাংলাদেশের অংশগ্রহণ

রবিবার বিকেলে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও, সোমবার থেকে সকলের জন্য উন্মুক্ত করা হয় সেবিট মেলা৷ বিশ্বের অন্যান্য অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও এই মেলায় অংশ নিয়েছে৷ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর উদ্যোগে ছয়টি প্রতিষ্ঠান এবং নেদারল্যান্ডসের সিবিআই-এর উদ্যোগে সাতটি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ রয়েছে মেলায়৷

১৯৯৯ সাল থেকে নিয়মিত হানোফারের মেলায় অংশ নিচ্ছে সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘লিডসফট'৷ প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ শহিদ বলেন, ‘‘সেবিট-এ ধারাবাহিকভাবে অংশ নেয়ার মাধ্যমে আমরা ডেনমার্কের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি৷ এটা আমাদের জন্য বেশ লাভজনক হয়েছে৷''

CeBit 2014 Rashed Kamal, Databij Software
ডাটাবিজ সফটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ কামালছবি: DW/A. Islam

নতুনদের অংশগ্রহণ

বাংলাদেশ থেকে এ বছরই প্রথম সেবিট মেলায় অংশ নিয়েছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান৷ এদের একটি ‘বিয়ন্ড টেকনোলজিস'৷ অপেক্ষাকৃত নতুন এই প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক আহসান জানান, মূলত প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম মেলায় আসা তাঁদের৷ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য সেবিট চমৎকার স্থান বলে মনে করেন আহসান৷

প্রসঙ্গত, বর্তমানে মুঠোফোন এবং ট্যাব নির্ভর অ্যাপস তৈরির দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ৷ বাংলাদেশের সফটওয়্যার নির্মাতারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই বলে জানান সিনেসিস আইটির চিফ অপারেটিং অফিসার রুপায়ন চৌধুরী৷ মূলত অ্যাপল আইওএস এর উপযোগী অ্যাপস তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটি৷

প্রতিবন্ধকতাও রয়েছে

বাংলাদেশের সফটওয়্যার খাতের কিছু সমস্যার কথা জানালেন মেলায় আগত ডাটাবিজ সফটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদ কামাল৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মার্কিন ডলারে লেনদেন এখনো সহজ হয়নি৷ ফলে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকক্ষেত্রে কঠিন হয়ে যাচ্ছে৷''

বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ নিয়ে এখনো সমস্যা রয়েছে বলে জানান কামাল৷ তিনি জানান, প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে খরচ বেশি৷ পর্যাপ্ত গতিও এখনো পাওয়া যায় না৷

এছাড়া বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ‘ইমেজ' ইতিবাচক না হওয়ায় ব্যবসার উপর তার প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন তিনি৷ তবে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠে সফটওয়্যার খাত এগিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তথ্য প্রযুক্তিবিদ রাশেদ কামাল৷ তিনি বলেন, ‘‘আনুষ্ঠানিক হিসেবে বাংলাদেশ গত বছর ১০০ মিলিয়ন ডলারের সফটওয়্যার এবং প্রযুক্তি সেবা রপ্তানি করেছে৷ আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা রপ্তানির পরিমাণ এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যেতে চাই৷''

উল্লেখ্য, সেবিট মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ক্রমশ বাড়ছে বলে জানান বার্লিনের বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোহাম্মদ আব্দুর রউফ৷ মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সার্বিক সহায়তা করছে দূতাবাস৷ সেবিট ২০১৪ চলবে ১৪ই মার্চ পর্যন্ত৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য