সেনা মোতায়েনে সচল হল চট্টগ্রাম বন্দর
১৪ অক্টোবর ২০১০এর আগে ১৪৪ ধারা জারি এবং সেনা মোতায়েনের ঘোষণার পর বন্দর এলাকায় শ্রমিকরা নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে৷
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়৷ নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান এমপি চট্টগ্রামে অবস্থান করেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছেন৷ তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, একটি মহল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর অচল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছিল৷ তাই বন্দর সচল রাখতে ১৪৪ ধারা জারি এবং সেনা মোতায়েনের কোন বিকল্প ছিলনা৷
চ্ট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম জানিয়েছেন, বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জনসাধারণের চলাচল এবং যানবাহনের উপর কোন প্রভাব ফেলবে না৷
বার্থ আপারেটর নিয়োগ এবং শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে গত শুক্রবার থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়৷
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শ্রমিকদের দাবিগুলো মেনে নেবার ঘোষণা দিয়েছেন৷ তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, পরিচয় পত্র প্রদান, বন্দর কর্তৃপক্ষ যে বেতন দিত বার্থ অপরেটর কর্তৃক সেই বেতন প্রদান, উৎসব, কল্যাণ ভাতা দেয়া ইত্যাদি৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার