‘তাঁর জীবনে একটি বিশেষ অধ্যায় চলছিল'
২৬ জুন ২০১৭ডয়চে ভেলে: হ্যাপিকে নিয়ে বইটি লেখার আইডিয়া কিভাবে এলো?
আবদুল্লাহ আল ফারুক: চার মাস আগে হ্যাপী ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন যে,তাঁর জীবনে যে পরিবর্তন এসেছে,তা নিয়ে তিনি একটি বই লিখতে চান৷ হ্যাপীর ফেসবুকের ফ্রেন্ডলিস্টে কোনো পুরুষ নেই৷ আমার স্ত্রী ছিলেন তাঁর ফ্রেন্ডলিস্টে৷ তাঁর মাধ্যমেই আমি হ্যাপী বা আমাতুল্লাহ'র সঙ্গে যোগাযোগ করি৷ এরপর একসময় আমাতুল্লাহ জানান যে,তিনি অসুস্থ, খতে পারবেন না৷ যদি সাক্ষাৎকারভিত্তিক হয়,তাহলে বইটি লেখা যেতে পারে৷ আমরা এরপর সেভাবেই এগোই৷
সাক্ষাৎকার নেয়ার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
আমার স্ত্রী যখন তাঁর সাক্ষাৎকার নেন, তখন পরিপূর্ণ পর্দার ভেতরে, অর্থাৎ এক রুমে আমার স্ত্রী ও আরেক রুমে আমাতুল্লাহ ছিলেন৷ আমার স্ত্রী প্রশ্ন করেন, আমাতুল্লাহ উত্তর দেন৷ আর আমি ও আমাতুল্লাহ'র স্বামী আবদু্ল্লাহ ভাই আরেক রুমে ছিলাম৷ নিজেরা গল্প করছিলাম৷ আমাতুল্লাহ এতটাই ধর্ম মানেন যে, এতদিন আমি তার বাসায় গিয়েছি, তাঁর রান্না খেয়েছি, কিন্তু কোনোদিন তাঁর কন্ঠস্বর শুনিনি৷
তাঁর এই পরিবর্তনের কারণ কী, তা কি বলেছেন?
বইয়ের ১০৪টি প্রশ্নের অধিকাংশই এই বিষয়টি নিয়ে৷ আগের জীবনে তিনি সারাদিন শুটিং শেষে রাতে সাধারণত হিন্দি বা বলিউডের গান, নাটক এসব দেখতেন৷ একদিন হঠাৎ করে ইউটিউবে একটি ইরানি ছবি দেখেন হযরত ঈসা (আ.)-এর ওপর৷ এরপর তিনি হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর আরেকটি ইরানি ছবি দেখেন৷ এগুলো তাঁর মনে অনেক দাগ কাটে৷ তিনি জানিয়েছিলেন, সেই সময় তাঁর জীবনে একটি বিশেষ অধ্যায় চলছিল, যার কারণে তাঁর মন ভেঙে গিয়েছিল৷ ভাঙা মনে এসব ছবি তাঁকে আরো বেশি মুগ্ধ করে৷ তখন তাঁর উপলব্ধি হয়৷ এরপর তিনি সমস্ত ‘গুনাহর কাজ' ছেড়ে ইসলামের পথে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন৷
পুরো সাক্ষাৎকারটি শুনুন অডিওতে৷
আপনার কিছু বলার থাকলে লিখুন নীচে মন্তবের ঘরে৷