1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মেসিভক্ত এক আফগান শিশু

১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

নীল-সাদা পলিথিন ব্যাগ দিয়ে তৈরি জার্সি পরেছিল শিশুটি৷ পিঠে লেখা মেসি৷ শিশুটির সেই ছবি নজর কাড়ে লিওনেল মেসির৷ শুরু হয় তার সন্ধান৷

https://p.dw.com/p/1Hmxc
Mortaza Ahmadi Lionel Messi Fan Afghanistan
ছবি: Mahdi Ahmadi

শিশুটিকে খুঁজে পেতে অবশ্য খুব বেশি কষ্ট করতে হয়নি৷ তার নাম মোর্তোজা আহমেদি, বয়স পাঁচ৷ আফগানিস্তানের গজনি প্রদেশের এক গরিব পরিবারে জন্ম৷ মেসি লেখা জার্সি কেনার সাধ্য তার বা তার পরিবারের নেই৷ তাই ভাই হুমায়ুন পলিথিন ব্যাগ কেটে জার্সি বানিয়ে দেয় মোর্তোজাকে৷ সেটার পেছনে মার্কার দিয়ে লেখা হয় মেসি এবং ১০ নম্বর৷ একটা ফুটো হয়ে যাওয়া ফুটবল নিয়ে খেলতো মোর্তোজা৷

ফেসবুকে মোর্তোজার জার্সি পরা ছবি প্রথমে প্রকাশ করেন হুমায়ুন৷ জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়কার ঘটনা সেটা৷ এরপর ছবিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে থাকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে৷ এক পর্যায়ে তা পৌঁছে যায় খোদ লিওনেল মেসির কাছে৷

ছবিটি দেখার পর শিশুটির জন্য কিছু একটা করার তাড়না অনুভব করেন মেসি, জানান তাঁর বাবা জর্গি মেসি৷ আফগানিস্তানের ফুটবল ফেডারেশন সোমবার জানিয়েছে, মেসির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাদের৷ মোর্তোজার সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বিষয়ে কাজ করছে তারা৷

আপাতত, আফগানিস্তান, স্পেন বা অন্য কোনো দেশে তাদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে৷ মেসি আফগানিস্তানে আসতে চাইলে নিরাপত্তা এক বড় বাধা হিসেবে কাজ করবে৷ যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে এতবড় মাপের একজন ফুটবলারের নিরাপত্তা নিশ্চিত যে জটিল কাজ, তা অনেকেই বুঝতে পারছেন৷ কাবুলে অবস্থিত স্পেনের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ইউরোপের কোন শহরে মেসির সঙ্গে মোর্তোজার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন তারা৷

Mortaza Ahmadi Lionel Messi Fan Afghanistan
মেসিভক্ত মোর্তোজা আহমেদিছবি: Mahdi Ahmadi

উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে তালেবান শাসনামলে খেলাধুলা কার্যত নিষিদ্ধ ছিল৷ কাবুল স্টেডিয়াম ব্যবহার হতো প্রকাশ্যে হত্যা, পাথর মারা আর অঙ্গহানির মতো শাস্তি প্রদানের ভেন্যু হিসেবে৷ তবে দেশটিতে ফুটবল এবং ক্রিকেট – দু'টো খেলাই বেশ জনপ্রিয়৷

এআই/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য