সূর্যগ্রহণ দেখলেন লাখো মানুষ
এই সকালটা অন্যরকম৷ এমন সকালে চিরাচরিত নিয়মেই সূর্য ওঠে, তবে সূর্য আবার ভর সকালে চাঁদের আড়ালেও চলে যায়৷ হ্যাঁ, ৯ মার্চ আবারও এসেছে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ৷ তবে শুধুমাত্র আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে বাংলাদেশে৷
সূর্যগ্রহণ কী?
পৃথিবী নির্দিষ্ট কক্ষপথ ধরে সূর্যের চারপাশে ঘোরে৷ পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে চাঁদ৷ ঘুরতে ঘুরতে চাঁদ যখন পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে আসে, তখন পৃথিবীর কোনো অংশে সূর্য আংশিক আবার কোনো অংশে পুরোপুরি চাঁদের পেছনে চলে যায়৷ সূর্যের এই আড়ালে চলে যাওয়াটা পৃথিবীর কোন জায়গা থেকে দেখা হচ্ছে, তার ওপরই নির্ভর করে৷ সূর্যের এই সাময়িকভাবে চাঁদের আড়ালে চলে যাওয়াই হলো সূর্যগ্রহণ৷
কোথায় দেখা গেল পূর্ণ সূর্যগ্রহণ?
ভারত মহাসাগর থেকে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা, বোর্নিও, সুলাওয়েসিসহ আরো কয়েকটি স্থান হয়ে প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত মোটামুটি ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে দেখা গেছে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ৷
পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখতে কেমন
সূর্য চাঁদের আড়াল হলে অনেকটা জ্বলজ্বলে আংটির মতো দেখায়৷ সর্বশেষ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছিল ২০১৫ সালে৷
বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ
বাংলাদেশের বিজ্ঞান-বিষয়ক সংগঠন অনুসন্ধিৎসু চক্রের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায় যে, বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে৷ ঢাকায় স্থানীয় সময় ভোর ৬টা ১২ মিনিটে সূর্যোদয়ের পর থেকে সকাল ৬টা ৩৮ মিনিট ৪৯ সেকেন্ড পর্যন্ত ছিল সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায়৷ গ্রহণ শেষ হয় ৭টা ২১ মিনিট ৭ সেকেন্ডে৷
খুব সাবধানে!
অনেকে না বুঝে খালি চোখে সূর্যগ্রহণ দেখতে চান৷ এটা একেবারেই ঠিক নয়৷ খালিচোখে সূর্যগ্রহণ দেখলে অন্ধ হয়ে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে৷
যেভাবে দেখতে হয় সূর্যগ্রহণ
বিশেষ ধরনের চশমা অথবা দূরবীন দিয়ে সূর্যগ্রহণ দেখাই সবচেয়ে নিরাপদ৷ তবে হাতের কাছে উন্নত ধরণের ওই বিশেষ চশমা বা দূরবীন না থাকলে খুব সহজে নিরাপদ চশমা তৈরিও করা যায়৷ একটা কার্ডবোর্ডের বাক্স আর অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল থাকলেই তা দিয়েই তৈরি করা যায় চৌকোনো এক মজার চশমা৷ সেই চশমা দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে সূর্যগ্রহণ দেখলেও চোখের কোনো ক্ষতি হয় না৷