1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘সুপার ঈগল্স’ নাইজিরিয়া

১০ জুন ২০১০

ফিফা ব়্যাংকিংয়ে নাইজিরিয়ার বর্তমান অবস্থান কুড়ি৷ ফুটবলের ভাষায় নাইজিরিয়া হচ্ছে ‘সুপার ঈগল্স’৷ ২০০৬ সালে দুঃখজনকভাবে নাইজিরিয়া বিদায় নিলেও এবারের বিশ্বকাপে যে কোন ধরনের অঘটন ঘটাতে প্রস্তুত ‘সুপার ঈগল্স’৷

https://p.dw.com/p/Nn4M
ছবি: CAF

তার প্রমাণ তারা কোয়ালিফাইং রাউন্ড থেকেই দিয়ে আসছে৷ তবে ঈগলের শ্যেন দৃষ্টি বিশ্বকাপের ওপরই যে নিবদ্ধ রয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই৷ ১৯৯৪ সাল প্রথন নাইজিরিয়াকে বিশ্বকাপ ফুটবলে দেখা যায়৷ এরপর ১৯৯৮ এবং ২০০২ সালেও ‘সুপার ঈগল্স' বিশ্বকাপে খেলেছে৷

বর্তামানে নাইজিরিয়ার কোচ সুইডেনের লার্স লাগারবাক৷ এর আগে নাইজিরিয়ার কোচ ছিলেন জার্মানির একসময়কার তুখোড় ফুটবলার বের্টি ভগ্ট্স৷ ১৯৭৪ সালের বিশ্বকাপ যারা দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই বের্টি ভগ্স্টকে মনে আছে৷ ২০১০ সালের বিশ্বকাপে নাইজিরিয়া যেন অবধারিতভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সেভাবেই বের্টি ভগ্ট্স দলটিকে তৈরি করেছেন৷ আফ্রিকান কাপ হেরে যাওয়ার জন্য নিজেকে দায়ী করেছিলেন ভগ্ট্স৷ ফলস্বরূপ দায়িত্ব হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি৷ ফ্রেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত দলের কোচ ছিলেন সাইবু আমোদু৷ এরপর দায়িত্ব পান লার্স৷

Flash-Galerie WM Fans
ছবি: AP

ঠিক ১৪ বছর আগে ১৯৯৪ সালে নাইজিরিয়া আফ্রিকান ‘কাপ অফ নেশন্স' জিতে নেয়৷ তবে ১৯৮৫, ১৯৯৩ এবং ২০০৭ সালে ফিফার অনুর্ধ্ব-১৭ প্রতিযোগিতায় নাইজিরিয়া কাপ নিয়েছে৷ ১৯৯৬ সালের অলিম্পিকের ফুটবল টু্র্নামেন্টেও কাপ ছিনিয়ে নিয়েছিল ‘সুপার ঈগল্স'৷

সুপার ঈগল্সের সুপার স্টার কারা ? প্রথমেই আসে ওসাজে ওডেমউইংগির নাম৷ সংক্ষেপে সবাই আদর করে ডাকে ‘ওসাস'৷ ওসাস অত্যন্ত ক্ষিপ্র এবং অত্যন্ত দায়িত্বশীল৷ এরপর রয়েছে ওবাফেমি মার্টিন্স৷ আন্তর্জাতিক খেলায় মার্টিন্সের রয়েছে ১৫টি গোল৷ তাঁকে বলা হচ্ছে ‘মোস্ট লেথাল স্ট্রাইকার'৷ তবে শেষ মুহূর্তে লার্স লাগারবাক সাতজন খেলোয়াড়কে দল থেকে বাদ দিয়েছেন৷

২রা জুন ‘সুপার ঈগল্স' নাইজিরিয়া দক্ষিণ আফ্রিকা পৌঁছায়৷ ডারবানের কিং শাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দলটিকে স্বাগত জানানো হয়৷ ২০০৬ সালে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে না পারার দুঃখ কিছুটা হলেও ভুলতে পারবে নাইজিরিয়া৷

প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার

সম্পাদন: দেবারতি গুহ