1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় হুমকির মুখে পোশাকশিল্প

১ ডিসেম্বর ২০১০

সুতার দাম বেড়ে যাওয়ায় অল্প খরচে পোশাক প্রস্তুতকারী দেশ বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের উপর এই প্রভাব গিয়ে পড়বে ধনী দেশগুলোর উপরও৷ কারণ এই দেশগুলো এর প্রধান ক্রেতা৷

https://p.dw.com/p/QMmU
পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশছবি: AP

সারা বিশ্বে পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়৷ সবচেয়ে কম খরচে পোশাক প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে বেশ সুনাম রয়েছে এই দেশটির৷ ওয়াল-মার্ট থেকে এইচ অ্যান্ড এম এবং গ্যাপ এর মতো বিশ্ববিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলোর কারখানা বাংলাদেশেই৷ কিন্তু ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর ক্ষেত্রে অনীহা প্রকাশ করায় পোশাক শিল্প কারখানাগুলোকে এমনিতেই সরকারের পক্ষ থেকে চাপ এবং শ্রমিকদের অসন্তোষের রোষাণলে পড়তে হয়েছে৷ তার ওপর নভেম্বর মাসের গোড়াতে বিশ্ববাজারে ১ পাউন্ড (০.৪৫ কিলোগ্রাম) সুতার দাম প্রথম ১.৫০ ডলারে পৌঁছায়৷ এক বছর আগেও সুতার দাম ছিলো তার অর্ধেক৷ পোশাক শিল্প কারখানাগুলো তাই পোশাক তৈরির প্রধান কাঁচামাল সুতার দামের সঙ্গে পোশাকের দাম সমন্বিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন৷

ওয়াল-মার্ট বাংলাদেশের বায়িং অফিসের সাবেক প্রধান কর্মকর্তা হাসান খালেদ বলেন, ‘‘বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় পোশাক বিক্রেতারা শেয়ারমালিকদের জন্য বেশি লাভ নিশ্চিত করতে পোশাকের দাম কম রেখে আসছে৷ কিন্তু তাদের এখন অবশ্যই বুঝতে হবে যে, সস্তার ফ্যাশনের যুগ এখন চলে গেছে৷'' খালেদ এখন যুক্তরাষ্ট্রের নামি বিপণি চেন সিয়ার্স ও জেসি পেনি'র জন্য পোশাক কেনার দায়িত্বে আছেন৷ তিনি বলেন, সুতার দাম বাড়ার ফলে পশ্চিমা ক্রেতাদের বেশি দাম দিয়েই পোশাক কিনতে হবে৷

Bangladesch Textilindustrie
বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হল তৈরি পোশাক৷ছবি: AP

বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড হল তৈরি পোশাক৷ কেননা রপ্তানি আয়ের আশি শতাংশই আসে এই খাত থেকে, যদিও দেশটিকে সুতার জন্য নির্ভর করতে হয় অন্য দেশগুলোর উপর৷ পোশাক তৈরির জন্য প্রতিবছর বাংলাদেশকে দশ লাখ টন সুতা আমদানি করতে হয়৷ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশ হল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সুতা আমদানিকারী দেশ৷ চীনের পরেই তার স্থান৷

নভেম্বরের নয় তারিখের পর থেকে গত দুই সপ্তাহে সুতার বাজারে অবশ্য শান্ত অবস্থা বিরাজ করছে৷ কিন্তু বাংলাদেশের পোশাক শিল্প মালিকদের সংকটের এই সময়টি সামলাতে হচ্ছে৷ বাংলাদেশ তৈরি পোশাক ও রপ্তানি সংস্থা'র মতে, সংস্থাটির বেশির ভাগ সদস্য, যারা কিনা পশ্চিমের বিক্রেতাদের কাছ থেকে কয়েক মাস আগেও অর্ডার নিয়েছিলো, তারা এখন আগের অর্ডার বাতিল করে নতুন করে দাম নির্ধারণের জন্য জোর দিচ্ছে৷

সুতার দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ সরকার৷ সুতার নিশ্চিত সরবরাহের জন্য তাই সরকার এক নীতি গ্রহণ করেছে, যাকে বলা হচ্ছে ‘কটন ডিপ্লোমেসি'৷


প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক