1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুইস সেনা থেকে সিরিয়ায় আইএস-বিরোধী যোদ্ধা

সোফি কাজিন্স/এসিবি১৬ অক্টোবর ২০১৪

ছিলেন সুইজারল্যান্ডের সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট৷ তারপর সাংবাদিকতায় যোগ দিয়েছিলেন জোহান কোসার৷ সাংবাদিকতা ছেড়ে এখন তিনি সিরিয়ার তেল হামিসে গিয়ে লড়ছেন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে৷

https://p.dw.com/p/1DWNL
Johan Cosar
ছবি: DW/S. Cousins

দু'বছর ধরে সিরিয়ায় আছেন কোসার৷ এ মুহূর্তে হয়ত আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত সিরিয়াক মিলিটারি কাউন্সিলের হয়ে গুলি ছুড়ছেন কোনো কবর থেকে৷ হ্যাঁ, উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার তেল হামিসের এক পাহাড়ি এলাকার কবরেই এখন তাঁর বাস৷ সহযোদ্ধারা পালা করে ঘুমান সেই কবরে৷ কোসার জানালেন, গত কিছুদিনে তিনি একটুও ঘুমানোর সুযোগ পাননি৷

পাহাড়ের ওপরে বেশ কিছু কবর৷ কিছু কবর যোদ্ধাদের ‘শয়নকক্ষ'৷ ম্যাট্রেস ফেলে তার ওপর বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে৷ আরেকটি কবরকে করা হয়েছে ‘ইন্টারনেট রুম'৷ ওই এলাকায় শুধু সেই ঘরটিতেই টেলিফোনে কথা বলা যায়৷

সুইজারল্যান্ডের সেন্ট গ্যালেন-এ জন্ম নেয়া কোসার সিরীয় বংশোদ্ভূত খ্রিষ্টান৷ ডিডাব্লিউ-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে কোসার জানালেন, দু'বছর ধরে তিনি সিরিয়ায় আছেন৷ কোসার আরো জানান, যুদ্ধে অংশ নেবেন এ কথা ভেবে তিনি সিরিয়ায় যাননি, ‘‘সিরিয়ায় আমি যুদ্ধ করার জন্য আসিনি৷ এসে মনে হলো, আমি তো অস্ত্র কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা শিখিয়ে, কীভাবে চেকপয়েন্ট তৈরি করতে হয় তা দেখিয়েও এখানকার লোকজনকে সাহায্য করতে পারি৷ আসলে আমাদের কেউই কিন্তু অস্ত্র পছন্দ করি না৷''

Johan Cosar
সিরিয়ায় জোহান কোসারছবি: DW/S. Cousins

তাহলে যুদ্ধে কেন অংশ নিচ্ছেন? জবাবে এমএসএফ নামেও পরিচিত সিরিয়াক মিলিটারি কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমান্ডের সদস্য কোসার জানালেন, আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে সেখানকার শহর এবং গ্রামগুলোকে বাঁচাতেই অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন৷ তিনি মনে করেন, আইএস-কে না ঠেকালে তারা এসে স্থানীয়দের শিরশ্ছেদ করতো৷ কোসার আরো বলেন, ‘‘সিরিয়ার আসিরিয়ানদের রক্ষা করার জন্যই সিরিয়াক মিলিটারি কাউন্সিল গঠন করা হয়েছিল৷ আমরা তো এখানে বা সিরিয়ার বাইরে সংখ্যালঘু নই৷ আমরা মানুষ এবং আমাদের শেঁকড় এখানেই৷''

কোসার জানালেন, সিরিয়াক মিলিটারি কাউন্সিল মাত্র কয়েকশ সৈন্য নিয়ে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামলেও এখনো তাঁদের কোনো সহযোদ্ধা মারা যাননি, ‘‘আমাদের পক্ষের একজনও মারা যায়নি৷ আমাদের বাড়তি সৈন্যেরও দরকার নেই৷ কুর্দিদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা প্রায় ৪০ বছরের৷ আমরা এ অঞ্চলে মাত্র বছর দুয়েক আগে এসেছি৷ তবে আমাদের প্রশিক্ষণ ওদের চেয়ে আধুনিক৷''

আইএস জঙ্গিদের হাত থেকে তেল হামিসকে রক্ষার লড়াইটা শুরু হয়েছিল সেপ্টেম্বরে৷ অনেক রাতে ঘুটঘুটে অন্ধকারে কোসার এবং তাঁর সহযোদ্ধারা হেঁটে হেঁটে চলে গেছেন শত্রু শিবিরে৷ স্নাইপার তাঁরা৷ তাই কয়েক মিটার দূর থেকেও আইএস জঙ্গিদের সঙ্গে লড়তে হয়েছে৷

সামনে মাত্র এক কিলোমিটার দূরে আইএস-এর ঘাঁটি৷ ১০ কিলোমিটার পেছনে কুর্দিদের শহর কোয়ামিশলি৷ মাঝের পাহাড়ি এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কোসার৷ সামরিক পোশাক পরা, মাথায় ব্যান্ডানা বাঁধা সুইস যোদ্ধার চোখ ঘুমে ঢুলু ঢুলু৷ নিজের দেশ সুইজারল্যান্ডকে ‘মিস' করছেন কিনা জানতে চাওয়ায় কোসার বললেন, ‘‘আমি কি সুইজারল্যান্ডকে মিস করছি? অবশ্যই করছি৷ আমি পাহাড়ও মিস করছি৷ (হেসে) ওই পাহাড়গুলো দেখুন!''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য