1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সুইস ঐতিহ্যবাহী খাবার ফদুঁ

৮ জানুয়ারি ২০১১

আনারস খাওয়ার পর দুধ খেতে নেই, এই ধরণের কত কথাই না আমাদের দেশে প্রচলিত৷ বিজ্ঞান এই ব্যাপারে যাই বলুক, আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এসব বিশ্বাস করেন৷ ইউরোপেও খাবার নিয়ে এমনটি যে ঘটে না তা কিন্তু নয়৷

https://p.dw.com/p/zuyw
Fontina, Fondue, Steamed, Vegetables, creamy, cheese, dish broccoli, cauliflower সুইস, ঐতিহ্যবাহী , খাবার, ফদুঁ
সুইস ঐতিহ্যবাহী খাবার ফদুঁছবি: AP

সুইজারল্যান্ডের একটি ঐতিহ্যবাহী খাবার হচ্ছে ফদুঁ, যা আমাদের দেশে একেবারেই অপরিচিত৷ সহজভাবে বলতে গেলে প্রচুর পরিমাণে পনির, সঙ্গে থাকছে রসুন, রুটি এবং ওয়াইন৷ একটা ছোট্ট বার্নার'এর ওপর পাত্র৷ তাতে গরম হতে থাকবে তেল বা গলিত পনির কিংবা তরল চকলেট৷ কখনো মাংস কখনো চিজ বা পনির অথবা ফলের ছোট ছোট টুকরা লম্বা ফর্ক বা কাঁটার আগায় লাগিয়ে এই পনিরের স্যুপে ডুবিয়ে খাওয়া হয়৷ এই হচ্ছে ফঁদু৷ যে কোন উৎসব পার্বণে কিংবা বড়দিনের ছুটিতে বাসার সবাই একসঙ্গে বসে এই ফঁদু খাওয়া চলে৷ অনেক সময় ধরে চলে এই খাওয়া দাওয়া আর আড্ডা৷ সঙ্গে থাকে ওয়াইন কিংবা গরম চা এবং রুটি৷ থাকে স্যালাডও৷

এহেন ফঁদু নিয়েই নানা ধরণের কুসংস্কার প্রচলিত৷ যেমন ফঁদু খাওয়ার পর কেউ যদি ঠান্ডা পানি কিংবা সোডা ওয়াটার খায় তাহলে খুব ক্ষতি হতে পারে৷ এমনকি ঠান্ডা পানি খেয়ে কেউ কেউ মারা গেছে, তেমন কথাও শোনা যায়৷ কিন্তু কোনটিরই আসলে সত্যতা পাওয়া যায়নি৷ বাংলাদেশে আনারসের সঙ্গে দুধ খাওয়ার মত আর কি৷

যাই হোক, সুইজারল্যান্ডের মানুষের মধ্যে আবার একটি বড় বিতর্ক রয়েছে এই ফঁদু খাওয়া নিয়ে৷ ওয়াইন নাকি গরম চা, কোনটি এসময় পান করা উচিত সেটা নিয়ে মাঝে মধ্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷ শেষ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এই বিতর্কের সমাধান খুঁজেছেন৷ সুইস, জার্মান এবং ব্রিটিশ বিজ্ঞানীদের এক গবেষণার ফল সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে৷ তাতে বলা হয়েছে, ফঁদু'র মত ভারী খাবার খাওয়ার পর চা পান করলে পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া শেষ হতে লাগে ছয় ঘণ্টা৷ আর মদ বা ওয়াইন পান করলে লাগে নয় ঘণ্টা৷ অর্থাৎ চায়ের চেয়ে ওয়াইন হজম প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়৷ তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, সুস্থ ব্যক্তির জন্য আসলে এটি তেমন কোন বিষয় নয়৷ চা, মদ্য আর ঠান্ডা কোকাকোলা সবই তাদের জন্য সমান৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক