ফেলানী প্রসঙ্গে বিএসএফ প্রধান
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের ছয় দিনের বৈঠক ঢাকার বিজিবি সদর দপ্তরে শেষ হয়েছে বুধবার বিকেলে৷ বৈঠক শেষে দুই মহাপরিচালক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন৷ যাতে সীমান্ত হত্যার ব্যাপারে উভয় পক্ষই তাঁদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ দুই দেশই সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে চায়৷ আর সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা৷ বিশেষ করে সীমান্তে বেআইনী কার্যক্রম বন্ধে আরো ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হবে৷ তাঁরা বলেন, গত পাঁচ বছরে সীমান্তে হত্যা আগের চেয়ে কমেছে৷
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, সীমান্তে অপরাধ এবং মাদক ও চোরাচালান রোধে পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে৷ এজন্য দুই দেশ গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করবে৷ এছাড়া, আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনে দুই দেশ আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে৷ তিনি জানান, সীমান্ত এলকায় যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা যেন অবৈধভাবে সীমান্ত পারাপার না করেন, সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হবে৷ এ ব্যাপারে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দেবেন৷
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের ব্যাপারে ভারতীয় পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকরা জানতে চান বিএসএফ মহাপরিচালক সুভাষ যোশীর কাছে৷ তিনি জবাবে বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ড্রোন মোতায়েনের কোনো পরিকল্পনা নেই ভারতের৷ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে যে খবর প্রকাশ পেয়েছে, তা সঠিক নয়৷ ৯ই সেপ্টেম্বর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকায় তাঁর বরাত দিয়ে ড্রোন মোতায়েনের যে খবর প্রকাশ করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলেও জানান বিএসএফ মহাপরিচালক৷
এদিকে, ফেলানী হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়েও কথা বলেন বিএসএফ প্রধান৷ তিনি এই হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত বিচার দেখতে সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান৷ সুভাষ যোশী বলেন, ফেলানী হত্যার ঘটনায় অবশ্যই ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে৷ উল্লেখ্য, ফেলানী হত্যায় বিএসএফ-এর আদালত ইতিমধ্যেই একমাত্র আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছে৷
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় যে, সীমান্তে যাতে শান্তি বজায় থাকে সে জন্য বিজিবি এবং বিএসএফ-এর মাঠ পর্যায়ে ঘন ঘন বেঠকের ব্যবস্থা করা হবে৷ শুধু তাই নয়, কিছু কিছু ক্ষেত্রে যৌথ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথাও বলেন তাঁরা৷