1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু

২৩ এপ্রিল ২০১১

আরব জগতে শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর জোরালো বিক্ষোভের ঘটনা নতুন কিছু নয়৷ কিন্তু গতকাল সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে নিরাপত্তা বাহিনী যে হত্যালীলা চালিয়েছে, তা নজিরবিহীন৷

https://p.dw.com/p/112mP
বানিয়াস শহরে মানুষের বিক্ষোভছবি: AP
সর্বশেষ পরিস্থিতি

সিরিয়া থেকে নিরপেক্ষ সংবাদ পাওয়া অত্যন্ত কঠিন৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলির সূত্র অনুযায়ী শুধু শুক্রবারই লাতাকিয়া, হোমস, হামা, দারা, দামাস্কাস সহ বিভিন্ন শহরে পুলিশের গুলিতে প্রায় ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে৷ শুধু তাই নয়, বিরোধীদের স্থানীয় সমন্বয় কমিটি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স'এর কাছে নিহত ৮৮ জনের নামের তালিকাও পাঠিয়েছে৷ গত ১৮ই মার্চ দক্ষিণের দারা শহরে যে বিক্ষোভের ঢেউ শুরু হয়েছিল, তার জের ধরে মৃতের সংখ্যা প্রায় ৩০০ ছাড়িয়ে গেছে৷ আল জাজিরার রিপোর্টে বিচ্ছিন্ন দৃশ্য দেখানো হচ্ছে, যাতে ভয়াবহ হিংসালীলার কিছু খণ্ডচিত্র পাওয়া যাচ্ছে৷ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদ সংস্থাগুলির কাছে বিস্তারিত বিবরণও দিয়েছেন৷

Flash-Galerie Syrien Banias Proteste
জুম্মার নামাজের পর বিক্ষোভকারীদের মিছিলছবি: AP

বিক্ষোভের কারণ

আসাদের প্রশাসনের উপর বিক্ষোভকারীদের কোনো আস্থা নেই৷ তারা সরাসরি সরকার উৎখাত করার ডাক দিচ্ছে৷ জরুরি অবস্থা তোলার দাবি পূরণ হলেও রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি এবং কুখ্যাত গোয়েন্দা সংস্থার ব্যাপক ক্ষমতা কমানোর দাবি সম্পর্ক এখনো নীরব প্রেসিডেন্ট আসাদ৷ তাছাড়া ক্ষমতাকেন্দ্রে একমাত্র বাথ পার্টির একচ্ছত্র আধিপত্যেরও অবসান চায় তারা৷ স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক কাঠামোর দাবি জানাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা৷

সরকারের বক্তব্য

সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ সশস্ত্র গোষ্ঠী, বিদেশি অনুপ্রবেশকারী ও সুন্নি উগ্রবাদী সংগঠনগুলিকে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করছে৷ তাদের দাবি, এই সব দুষ্কৃতি বিক্ষোভকারী ও পুলিশের দিকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে৷ তাদের এই প্ররোচনার ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে৷

Syrien Präsident Bashar Assad hält eine Rede vor seinem Kabinett in Damaskus
জরুরি অবস্থা তুলে নেওয়া সত্ত্বেও আসাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছেছবি: dapd

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই হিংসার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘নিজের দেশের মানুষের কণ্ঠ না শুনে প্রেসিডেন্ট আসাদ বিদেশি শক্তিগুলিকে দায়ী করছেন৷ অথচ মানুষের উপর নিপীড়ন চালাতে তিনি নিজে ইরানের সহায়তা নিচ্ছেন৷'' ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন, শুধু কাগজে কলমে নয় বাস্তবেও জরুরি অবস্থা তুলে নিতে হবে৷ আরব জগতের অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় সিরিয়ার বিশেষ কৌশলগত অবস্থান ওয়াশিংটন ও লন্ডনের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য