‘সংকট নিরসন অসম্ভব নয়’
২২ জানুয়ারি ২০১৪অনেক নাটকীয়তার পর বুধবার মন্ট্রেয়ায় শুরু হয়েছে সিরিয়া শান্তি সম্মেলনের প্রথম পর্ব৷ শুক্রবার জেনেভায় দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা হওয়ার কথা৷ প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রথম পর্বে সিরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ালিদ আল-মুয়াল্লেম এবং বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা আহমেদ আল-জারবার নেতৃত্বে দুটি প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে৷ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া৷ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভও সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন৷
সম্মেলনে অংশ নেয়ার জন্য ইরানকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বান কি-মুন৷ কিন্তু আসাদ সরকারের বিরোধীরা ইরান অংশ নিলে সম্মেলন বর্জন করার হুমকি দিলে সে আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করা হয়৷ সম্মেলনের দু'দিন আগের এই ঘটনায় রাশিয়া হতাশ৷ লাভরভ বলেছেন, ইরানকে অংশ নিতে না দেয়া সিরিয়া সংকট নিরসন প্রচেষ্টায় বড় রকমের ভুল৷ বাশার আল-আসাদ সরকারের মিত্র শক্তি বলে পরিচিত ইরানের বিরুদ্ধে বেশ আগে থেকেই কঠোর অবস্থানে বিদ্রোহীরা৷ তাদের অভিযোগ, ইরান চলমান যুদ্ধে সৈন্য এবং অস্ত্র দিয়ে আসাদের অনুগত বাহিনীকে সহায়তা করছে৷
এদিকে শুরু হওয়ার আগেই সম্মেলনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে ইরান৷ সে দেশের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি বলেছেন, ‘‘এমন কিছু আলামত দেখা যাচ্ছে যার কারণে সিরিয়া সংকটের সমাধান এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশেষ কিছু প্রাপ্তির আশা আমরা করতে পারছি না৷ সন্ত্রাসীদের প্রতিনিধিরাও অংশ নিচ্ছে বলে এ সম্মেলন সিরিয়ায় স্থিতিশীলতা আনয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে – এমন আাশাও করা যাচ্ছেনা৷'' তবে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, এ শান্তি সম্মেলনের সামনে যে অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে তা ঠিক, কিন্তু সংকট নিরসন অসম্ভব নয়৷
২০১১ সালের মার্চ থেকে আসাদ সরকারের অনুগত বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের যুদ্ধ চলছে৷ যুদ্ধে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ মারা গেছে৷ ২৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ সিরিয়া ছেড়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে৷ অন্তত সাড়ে ছয় লাখ মানুষ সিরিয়াতেই ঘরছাড়া৷ যুদ্ধের ভয়াবহতার কারণে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো গত জুলাই থেকে গৃহহীন সিরীয়দের কাছে ত্রানসামগ্রী পৌঁছাতে পারছে না৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)