1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিরিয়ায় সামরিক অভিযান

২৫ ডিসেম্বর ২০১৫

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়ায় জার্মান সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিলেন৷ সৌদি আরব সহ আঞ্চলিক ইসলামি দেশগুলিকেই আইএস দমনের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকায় দেখতে চান তিনি৷

https://p.dw.com/p/1HTbm
ছবি: Reuters/F. Bimmer

আপাতত আকাশ থেকে বোমাবর্ষণ করে আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলি৷ তবে তাদের পুরোপুরি পরাস্ত করতে স্থলবাহিনীর প্রয়োজন, এ নিয়ে আর তেমন কোনো সন্দেহ নেই৷ আপাতত কুর্দি সহ বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী সরাসরি আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাচ্ছে৷ তাদের আরও শক্তিশালী করে তোলার উপর জোর দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব৷ যেমন জার্মানি ইরাকের উত্তরে কুর্দি বাহিনীর প্রশিক্ষণ ও তাদের অস্ত্র সরবরাহ করছে৷ কিন্তু নিজস্ব সৈন্য পাঠিয়ে আইএস দমন করার পরিকল্পনার কথা শোনা যাচ্ছে না৷ এমন সিদ্ধান্ত আইএস-এর অনুকূলে যাবে বলেও মনে করছে অনেক মহল৷

জার্মানিও আন্তর্জাতিক উদ্যোগের আওতায় সিরিয়ায় চলমান সামরিক অভিযানে অংশ নিচ্ছে৷ সিরিয়ায় রাজনৈতিক সমাধানসূত্র খোঁজার কূটনৈতিক উদ্যোগেও জার্মানি যথেষ্ট সক্রিয়৷

কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার সিরিয়ায় জার্মান সৈন্য পাঠানোর সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন৷

সে ক্ষেত্রে সুদূর সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে আদৌ অংশ নেবার প্রয়োজন কী? জার্মানির ফুংকে মিডিয়া গ্রুপের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে স্টাইনমায়ার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জার্মানির সীমান্তে থেমে থাকছে না৷ অতএব দরজা বন্ধ করে আলো নিভিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ার জো নেই৷ হাতপা ঝেড়ে ফেললে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধও নিজে থেকে বন্ধ হবে না৷

আইএস-এর তাণ্ডব বন্ধ করতে আঞ্চলিক ইসলামি দেশগুলিকেই মূল ভূমিকা নিতে হবে বলে মনে করেন স্টাইনমায়ার৷ বিশেষ করে সৌদি আরবকে এই উদ্যোগে নেতৃত্বের আসনে দেখতে চান তিনি৷ উল্লেখ্য, আইসিস সহ সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে সৌদি আরব এরই মধ্যে নিজস্ব এক জোট গঠন করেছে বলে দাবি করছে৷

এসবি/ডিজি (ইপিডি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য