1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সিকে’র সেন্টে জাগুয়াররা মুগ্ধ

১১ জুন ২০১০

শ্বাপদরা কিসে আকৃষ্ট হয় জানেন? ক্যালভিন ক্লাইন’এর ‘অবসেসন ফর মেন’ সেন্টটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন৷ অবশ্য নখদন্তীদের আকৃষ্ট না করাই ভালো৷

https://p.dw.com/p/Nnwc
দুই মাস বয়সী জাগুয়ারছবি: picture-alliance / dpa

এক যদি না আপনি বায়োলজিস্ট, মানে জীববিজ্ঞানী হন৷ আর যদি না আপনার গুয়াটেমালার জঙ্গলে জাগুয়ার গোণার দরকার হয়ে থাকে৷ যেমন ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি'র দুই জীববিজ্ঞানী রনি গার্সিয়া এবং হোসে মোরেইরা'র পড়েছে৷ তাঁরা কাজ করেন ডাবলিউসিএস'এর জাগুয়ার সংরক্ষণ কর্মসূচির হয়ে৷ এবং গুয়াটেমালার মায়া বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ বা সংরক্ষিত অরণ্যে জাগুয়ারদের খুঁজে বার করে তাদের ছবি তোলাই হল শ্বাপদশুমারির মূল পন্থা৷

এক কথায়, জাগুয়ারদের খুঁজে বার করে তাদের জঙ্গলে রাখা গোপন স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরার লেন্সের সামনে নিয়ে আসতে হবে৷ তবে তাদের ছবি তোলা হবে এবং সেই ছবি থেকে তাদের সনাক্ত এবং গণনা করা সম্ভব হবে৷ এখন প্রশ্ন হল, এই অতীব গোপনীয়তা প্রিয় জানোয়ারটিকে ক্যামেরার সামনে আনা যায় কি করে৷

উত্তরটা যেন কোনো বিজ্ঞাপনের স্লোগান: ক্যালভিন ক্লাইনের অবসেসন ব্যবহার করে! সে আবার কি? সিকে'র ‘অবসেসন ফর মেন' একটি রীতিমতো নামকরা সেন্ট, বিশেষ করে পুরুষদের জন্য সৃষ্ট, জাগুয়ারদের জন্য নয়৷ কিন্তু মার্কিন মুলুকের ব্রংক্স এলাকায় ডালবিউসিএস'এর একটি চিড়িয়াখানা আছে৷ সেখানে তারা গুলবাঘাদের তথাকথিত ক্যামেরার ফাঁদের সামনে আনার চেষ্টা করছিল৷ তার প্রধান উপায় বা অস্ত্র ছিল গন্ধ, অর্থাৎ সুগন্ধ৷ বছর দু'য়েক ধরে সেই এক্সপেরিমেন্ট চলে৷২৩টি বিভিন্ন সেন্ট ব্যবহার করে দেখা যায় যে, ক্যালভিন ক্লাইনের ‘অবসেসন ফর মেন'-ই শ্বাপদদের মনোযোগ সবচেয়ে বেশীক্ষণ ধরে আকৃষ্ট করতে সক্ষম৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিল নিনা রিচি'র ‘লে'য়ার দু তম্প'৷

ফ্যাশনের ক্ষেত্রে ঠিক যেমনটি হয়ে থাকে: ব্রংক্স থেকে সিকে'র ‘অবসেসন' যায় গুয়াটেমালায়, সে হল ২০০৭ সালের কথা৷ এখন সেটাকে ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়া, বলিভিয়া, পেরু এবং ইকুয়াডোরে বিস্তারিত করার পরিকল্পনা চলেছে৷ অবশ্য অবসেসন ফর মেন যে শেষ অবধি অবসেসন ফর জাগুয়ার্স হয়ে উঠবে, তা হয়তো ক্যালভিন ক্লাইনেরও জানা ছিল না৷

প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

সম্পাদনা: জাহিদুল হক