সিঁড়ি বেয়ে শিল্প, শিল্পময় সিঁড়ি
কলকাতার জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এক অভিনব রীতিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী হচ্ছে৷ বাড়িটির মূল যে সিঁড়ি, সেটাই ব্যবহার হচ্ছে প্রদর্শনশালা হিসেবে৷ ফলে প্রথাগত প্রদর্শনীকক্ষের থেকে অনেক বেশি মানুষ দেখতে পাচ্ছেন এই প্রদর্শনী৷
বছরভর প্রদর্শনী
কলকাতার জার্মান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, মানে গ্যোটে ইন্সটিটিউট বা মাক্স ম্যুলার ভবনে সারা বছর ধরেই নানা ধরনের প্রদর্শনী হয়৷ এর মূল উদ্দেশ্য চলতি জার্মান শিল্পকর্মের সঙ্গে এই শহরের পরিচয় করিয়ে দেওয়া৷
সিঁড়িতে প্রদর্শনী
এই প্রদর্শনীর স্থান নির্বাচনটি বেশ অভিনব৷ বাড়িটির দোতলায় যাওয়ার মূল যে সিঁড়িটি, তার পাশের দেওয়াল এটা৷ আর এই দেওয়াল জুড়েই ঝোলানো হয়েছে ছবিগুলো৷ এ কারণেই এই প্রদর্শশালার নাম, ‘দ্য স্টেয়ার্স’৷
...এবং অন্যত্র
শুধু সিঁড়িটিই অবশ্য নয়, যে হলঘর থেকে এর শুরু, এবং দোতলার যে বসার জায়গায় গিয়ে সিঁড়ির শেষ, ছবি সাজানো হয়েছে তার দেওয়ালেও৷ গোটা জায়গাটা জুড়েই চালু রয়েছে এই প্রদর্শনী৷
আসা-যাওয়ার পথে
যাঁরা কোনো কাজে গ্যোটে ইন্সটিটিউটে আসেন, তাঁরা সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার সময়েই দেখে নিতে পারেন প্রদর্শনীটি৷ অথবা বসার জায়গায় যখন কারও জন্য অপেক্ষা করছেন, তখনও সময় কাটাতে পারেন ছবি দেখে৷
নতুনদের সুযোগ
নতুন ধরনের কী কী কাজ হচ্ছে জার্মানিতে – তা জানার এক বড় সুযোগ করে দিচ্ছে মাক্স ম্যুলার ভবনের এই প্রদর্শনী৷ এই যেমন, নবীনা আলোকচিত্রী ইয়ানা ভেরনিকে৷ তিনি তো বেজায় খুশি নিজের ছবির প্রদর্শনী দেখে৷
অচেনাকে চেনা
শুধু যে নবীন জার্মানদের কাজ দেখার সুযোগ পাচ্ছে কলকাতার মানুষ, তা কিন্তু নয়৷ ইয়ানার মতো আলোকচিত্রীরাও সুযোগ পাচ্ছেন নতুন দেশ, অন্য শহর আর অচেনা সংস্কৃতি পরখ করার৷
উত্তরণের সিঁড়ি
সব মিলিয়ে কলকাতার গ্যোটে ইন্সটিটিউটের এই সিঁড়ির প্রদর্শনী শুধু যে নতুন শিল্পের আধার হয়ে উঠেছে – তাই নয়, নবীন শিল্পীদের উত্তরণের একটা সিঁড়ি হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে প্রদর্শনীটি৷