সারা বিশ্বে এখন বাঘের সংখ্যা মাত্র ৩,২০০
১৩ জুলাই ২০১০বেআইনিভাবে বাঘ শিকার আর নির্বিচারে বন ধ্বংস-- এই দুটি কারণই বাঘের সংখ্যা অ্যাতো কমে যাওয়ার কারণ বলে মনে করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলকিফলি হাসান৷ বাঘ বাঁচাতে ইন্দোনেশিয়ার বালি'তে সোমবার থেকে শুরু হওয়া তিনদিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন৷
তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে বাঘের চামড়া বেশ লাভজনক হওয়ায় অনেক ব্যবসায়ীর কাছেই এটা একটা ভাল ব্যবসা৷ আর এতে তাদের উৎসাহ যোগাচ্ছে বিদ্যমান আইনের সঠিক ব্যবহার না হওয়া৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান বলেন, বিশ্বে আগে নয় জাতের বাঘের দেখা পাওয়া যেত৷ কিন্তু এখন সেখানে আছে মাত্র ছয়টি৷ তাঁর নিজের দেশে থাকা তিন প্রজাতির বাঘের দু'টিরই এখন কোনো অস্তিত্ব নেই বলে জানান ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী৷
বাঘ আছে এমন ১৩টি দেশের প্রতিনিধিরা সম্মেলনে উপস্থিত আছেন৷ আর বাঘ যেহেতু বাংলাদেশের জাতীয় পশু তাই বাংলাদেশের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত আছেন সেখানে৷ মূলত দুটি বিষয় আলোচিত হচ্ছে সম্মেলনে - এক, কীভাবে বাঘের সংখ্যা আরও বাড়ানো যায় এবং দুই, যে বাঘগুলো এখনো বেঁচে আছে তাদের কীভাবে শিকারীদের হাত থেকে রক্ষা করা যায়৷
আগামী সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার সেন্ট পেটার্সবুর্গে আরেকটি সম্মেলন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে৷ বালি সম্মেলনকে দেখা হচ্ছে ঐ সম্মেলনের পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে৷ বাঘ বাঁচানোর একটি পরিকল্পনার খসড়া তৈরি করা হবে এই সম্মেলনে৷
খসড়া পরিকল্পনায় বাঘ শিকারের জন্য আরও কঠোর জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হবে৷ এছাড়া বিদ্যমান আইনগুলো কীভাবে আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়টিও থাকবে ঐ খসড়াতে৷ তবে এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে বাঘকে রক্ষা করা যাবে কিনা, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে৷ কারণ বিশ্ব ব্যাংকের টাইগার ইনিশিয়েটিভের পরিচালক কেশব ভার্মা বলছেন, বাঘ শিকারীরা আগের চেয়ে নাকি এখন অনেক শক্তিশালী৷ শিকারের কাজে তারা ব্যবহার করছেন অত্যাধুনিক সব অস্ত্র৷ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তাও নিচ্ছে কেউ কেউ৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক