সামরিক শাসনামলের আদেশ ২০১২ সালের পর বাতিল হয়ে যাবে
১১ মে ২০১১সংবিধানের ৫ম সংশোধনী বাতিল হওয়ার পরও ক্রান্তিকালীন সময়ের ব্যাখ্যা নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল৷ আর সামরিক শাসকদের মার্জনার বিধান ছিল৷ কিন্তু বিষয়গুলো পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে আজ বিচারপতি মোজাম্মেল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চ তাদের রায় ও পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন৷ আদালত বলেছেন, ক্রান্তিকাল বলতে ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ থেকে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের নতুন সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিন পর্যন্ত বোঝাবে৷ কোন সামরিক শাসনের সময়কালকে ক্রান্তিকাল বিবেচনা করা হবেনা৷ আর সামরিক শাসনামলের আদেশ, বিধান বা ফরমান ২০১২ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, তারপর আর নয়৷ আর সামরিক শাসনামলে বিচারকদের নিয়োগের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত নিতে হলে সুপ্রিমকোর্টের পরামর্শ নিতে কবে৷ সামরিক শাসকদের মার্জনা করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে জাতীয় সংসদ৷ রায়ের পর এসব বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম৷
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, এই রায় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে৷ ভবিষ্যতে কোন ব্যক্তি আর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারবেনা বা সাহস পাবেনা৷
ঢাকার মুন সিনেমা হলের মালিকানা নিয়ে এক মামলার কারণে ২০০৫ সালের ২৯শে আগষ্ট হাইকোর্ট ৫ম সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন৷ পরে আপিল বিভাগ কিছু পরিমার্জন করে গত বছরের ২রা ফ্রেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেয়৷ সেই রায়ের কিছু অংশের পুনর্বিবেচনা সংক্রান্ত আবেদনের রায় দিলেন আজ সুপ্রিম কোর্ট৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক