1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সামরিক শাসনকে বৈধতা দেয়া সপ্তম সংশোধনী অবৈধ

২৬ আগস্ট ২০১০

সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট৷ এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়ে ১৯৮৬ সালের সংসদে সপ্তম সংশোধনী গৃহীত হয়েছিল৷ রায়ে আদালত এরশাদকে রাষ্ট্র ক্ষমতার অবৈধ দখলদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন৷

https://p.dw.com/p/OxBC
ছবি: Harun Ur Rashid Swapan

সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট৷ এরশাদের সামরিক শাসনকে বৈধতা দিয়ে ১৯৮৬ সালের সংসদে সপ্তম সংশোধনী গৃহীত হয়েছিল৷ এরশাদের সামরিক আদালতে সাজা পাওয়া চট্টগ্রামের সিদ্দিক আহমেদের দায়ের করা এক রিটের শুনানি শেষে বৃহষ্পতিবার এ রায় দিয়েছেন বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ৷ আদালত রায়ে অভিমত দিয়ে বলেছে, সংসদ চাইলে পঞ্চম সংশোধনীর রায়ের আলোকে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর শাস্তি দিতে আইন প্রণয়ন করতে পারে৷

১৯৮২ সালে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখল করা সামরিক শাসক এরশাদ আমলের অবসান হয়েছিল ১৯৯০ সালে৷ নাগরিক গণ অভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন নয় বছরের সেনা শাসক এরশাদ৷ তবে এরশাদ বিদায় নিলেও তার সামরিক শাসনের বৈধতা দেওয়া সংবিধানের সপ্তম সংশোধনী কলঙ্কতিলক হিসেবেই জাতির সামনে থেকেই গিয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে সপ্তম সংশোধনী অসাংবিধানিক ঘোষণার মধ্য দিয়ে অবৈধ ঘোষিত হল এরশাদের সামরিক শাসন৷

রায়ে আদালত এরশাদকে রাষ্ট্র ক্ষমতার অবৈধ দখলদার হিসেবে আখ্যায়িত করেন৷ অবৈধ ক্ষমতা দখল এবং সেই ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য পূর্বসূরি জিয়ার পথকেই বেছে নিয়েছিলেন এরশাদ-অভিমত আদালতের৷

আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেনারেল জিয়া এবং এরশাদ দু‘জনেই সংবিধানের ১৫০ অনুচ্ছেদের সুযোগ নিয়েছিলেন৷ এই অনুচ্ছেদের সুযোগ যেন আর কেউ নিতে পারে এবং অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীদের শাস্তি নিশ্চত করার জন্য সংসদ আইন প্রণয়ন করতে পারে বলেও অভিমত আদালতের৷

রিট আবেদনকারী এরশাদের সামরিক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সিদ্দিক আহমেদকে আদালতে আত্মসমর্পন করে প্রচলিত আইনের আওতায় প্রতিকার পাওয়ার ব্যাপারেও আদেশ দিয়েছে আদালত৷ একই সঙ্গে আদালত এই রায়ের সঙ্গে সার্টিফিকেট দেওয়ার কারণে রায়টি সরাসরি আপিল বিভাগে পর্যালোচনার জন্য তালিকাভুক্ত হবে বলেও জানান এটর্নি জেনারেল৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার