1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাবেক ইসরায়েলি সৈন্যের ফেসবুক ছবি নিয়ে বিতর্ক

১৭ আগস্ট ২০১০

নিজের ফেসবুকে তিনটি ছবি তুলে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন ইসরায়েলের সাবেক সেনা সদস্য এডেন আবেরগিল৷

https://p.dw.com/p/OpNX
এডেন আবেরগিলের সেই বিতর্কিত ছবিছবি: AP

ছবিগুলোতে হাত-ও চোখ বাঁধা তিন জন ফিলিস্তিনির সামনে হাসিমুখে বসে আছেন এডেন৷ এ নিয়ে শুধু ফিলিস্তিনিদেরই কাছ থেকেই নয়, স্বদেশবাসীর সমালোচনার তীরও বিদ্ধ করছে এডেনকে৷ ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষও বলছে, ছবিগুলো লজ্জাজনক৷ আর তাই সাবেক হলেও এডেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সে কথা ভাবছে তারা৷

নিজের সেনা পরিচয় নিয়ে বেশ গর্ব বোধ করেন এডেন৷ আর তিনি বলছেন, এই ছবিগুলো তাঁর সেই গর্বিত জীবনেরই সাক্ষী৷ তাই ওই ছবিগুলোর শিরোনাম তিনি দিয়েছেন এভাবে – ‘আর্মি, আমার জীবনের সোনালি দিনগুলো'৷ এই ছবি সম্পর্কে বিতর্কের বিষয়টি ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না এডেন৷ বললেন, ‘‘আমি বুঝতে পারছি না, আমার কী ভুল হয়েছে৷ এই ছবিতে কোনো সহিংসতা নেই৷ নেই কারো প্রতি অশ্রদ্ধার ভাবও৷ রাজনৈতিক কোনো অভিসন্ধিও নেই এর পেছনে৷ আমি শুধু আমার সেনাসদস্য থাকার সময়টা তুলে ধরতে চেয়েছি৷''

Mann linst durch die Mauer zwischen Israel und Palästina
দখলদারি মানসিকতার শিকার ফিলিস্তিনিরাছবি: AP

এডেন বুঝতে না পারলেও ফিলিস্তিনিরা বুঝতে পারছেন এই ছবিগুলো কী বলছে৷ ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র গাসান খাতিব এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘‘দখলদারি মানসিকতা কী রকম, তা বুঝতে এই ছবিগুলোই যথেষ্ট৷ তাদের হীন মানসিকতার প্রকাশই ঘটেছে ছবিগুলোতে৷ ইসরায়েল যে ফিলিস্তিনি ভূমি দখল করে আছে, কোনো বিচারেই জায়েজ করা যায় না৷'' এডেন জানিয়েছেন, ছবিগুলো ২০০৮ সালে গাজায় তোলা৷ তবে এতে যে ফিলিস্তিনিদের দেখা যাচ্ছে, তাঁদের কেন বন্দি করা হয়েছে, তা খোলসা করেননি এডেন৷ ছবির কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে বয়োবৃদ্ধ বলেই মনে হয়েছে৷ সমালোচনার মুখে অবশ্য ছবিগুলো নিজের এ্যাকাউন্ট থেকে সরিয়ে ফেলেছেন এডেন৷

ইসরায়েলের সাবেক এই নারী সৈন্য দাবি করছেন, আসলে তিনি নিজের ছবিই তুলেছেন৷ পেছনে কে আছে, এখানে তা মুখ্য নয়৷ তবে তার এই যুক্তিও ধোপে টিকছে না৷ ইসরায়েলের নির্যাতন বিরোধী কমিটির প্রধান ইয়াশাই মেনুশিন বললেন, ‘‘ফিলিস্তিনিদের মানুষ মনে না করে বস্তুর মতো দেখার মানসিকতার প্রকাশ ঘটেছে এতে৷ এই সৈন্যদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ৷ সেনাবাহিনীতে গিয়ে তারা নিজেদের খুব শক্তিমান ভাবতে থাকে৷ এই প্রবণতা ক্ষতিকর৷''

ছবিগুলো নিয়ে সমালোচনা ওঠার পর নড়েচড়ে বসেছে ইসরায়েলি সেনা কর্তৃপক্ষ৷ এই বিষয়ে বাহিনীর বক্তব্য তুলে ধরে সোমবার বিবৃতিও দিয়েছে তারা৷ এডেনের কাজের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বলেছে, গত বছর সেনাবাহিনী থেকে বিদায় নিলেও এডেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷ সেনাবাহিনী এই কথা বললেও এডেনের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়৷

প্রতিবেদন: মনিরুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন