1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাতাশির বদলা, দেশে খেলার চাপ নিয়ে স্ট্রস বনাম ধোনি

২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১

বোলিং-এর শক্তিকে প্রধান হাতিয়ার করে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিল পাকিস্তান৷ শেষ পর্যন্ত টানটান ম্যাচ৷ আর আজ ধোনিবাহিনীর সামনে কপিলের পরাজয়ের শোধ তোলার সুযোগ৷ উল্টোদিকে ইংল্যান্ড৷

https://p.dw.com/p/10Q7r
ধোনি কিন্তু আত্মবিশ্বাসীছবি: AP

এগারো রান বাকি থাকতেই দম ফুরোল শ্রীলংকার

টসে জিতে পাকিস্তান ব্যাটিং নিয়েছিল৷ সাত উইকেটে পঞ্চাশ ওভারে ২৭৭ ছিল তাদের চ্যালেঞ্জ৷ এই সংখ্যার মধ্যে বলতেই হবে ইউনিসের ৭২ আর মেসবা উল হকের ৮৩ নট আউটের স্কোর দুটোর কথা৷ যেটার মুখে দাঁড়িয়ে শ্রীলংকার ইনিংসের নটেগাছ মুড়িয়ে যায় নয় উইকেটে ২৬৬ তে পৌঁছেই৷ চামারার ৫৭, সঙ্গকারার ৪৯-এর দুটো স্কোর ছাড়া বাকিরা সেভাবে দাঁড়াতেই পারেন নি পাকিস্তানের ছয় বোলারের চাপের মুখে৷ মাঠের বাইরে আরও দুই বোলার তৈরি৷ শাহিদ আফ্রিদি এদিন ছিলেন ভয়াবহ৷ ৩৪ রানে চারটি উইকেট তোলেন একাই৷ যোগ্য সঙ্গত ছিল শোয়েবের৷ রান দিয়েছেন ৪২টি৷ তুলে নিয়েছেন দরকারি দুটি উইকেট৷ ফলে পাকিস্তানের খেলায় শনিবার ছিল চ্যাম্পিয়নের ঝলকানি৷

আজ মুখোমুখি ভারত আর ইংল্যান্ড

দেশের মাঠে, ব্যাঙ্গালোরের চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের হাজার চল্লিশ দর্শকের সামনে ধোনিবাহিনীকে আজ নামতে হবে বহু প্রত্যাশা পূরণ করতে৷ প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে মনোবল ভালো থাকলেও এবারের ইংল্যান্ড কিন্তু প্রচণ্ড কঠিন প্রতিপক্ষ৷ ৮৭-তে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল কপিল দেবের ভারত৷ সে খেলা হয়েছিল মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে৷ ধোনিবাহিনী আজ তার জবাব দিতে পারবে তো? ইংল্যান্ডের এই দলটার সম্পর্কে একটু নীচু নজরে দেখার একটা কথা উড়ছে৷ সেটাকে কিন্তু একটুও পাত্তা দেননি ভারতের ক্যাপ্টেন মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, প্রত্যেকটা দিন প্রথম থেকে শুরু করতে হয়৷ সেটাই করব৷ খেলে জিততে হয়৷ সেদিকেই লক্ষ্য থাকবে৷ কোন দলকে ছোট করে দেখছি না৷ প্রশ্নও ওঠে না৷

ফেভারিট হওয়ার চাপটাই ভারতের বড় চাপ

ভারত এখন ক্রিকেটে এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছে যেখান থেকে ভারতের কাছে আর জয় নয়, দাবি হয়ে গেছে বড়সড়ো জয়ের৷ সেই চাপটাকে মাথায় রেখে দেশের মাটিতে সমর্থনের এবং প্রত্যাশাটাকে মনে রেখে তারপরে নিজেদের সহজ খেলাটা খেলতে হবে ভারতকে৷ ওদিকে, জুয়াড়ি থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা সকলেই যেহেতু ইংল্যান্ডকে হিসেবে আনছে না, অতএব ইংল্যান্ড কিন্তু কোন চাপে নেই৷ তারা স্বাভাবিক খেলাটা খেলবে৷ এবার ভারতের ব্যাটিং-এর শৌর্যের পাশপাশি বোলিং-এর দুর্বলতার দিকটার কথা ইংল্যান্ড কেন সকলেই জানে৷ এর সঙ্গে যোগ করতে হবে ইংল্যান্ড দলের কলিংউড আর বোপারার নাম দুটোকে৷ এই দুজনের অভিজ্ঞতা আর ঠাণ্ডা মাথায় ম্যাচ বের করে নেওয়ার দক্ষতা দেখা গেছে ডাচদের বিরুদ্ধে বিপাকে পড়া ইংল্যান্ডের শেষমেষ বিজয়ের দিন৷ স্ট্রসের দলের ব্যাটিং-এর গভীরতাটা অতএব বেশ জোরদার৷ সুতরাং টসে হেরে যদি ভারতকে বোলিং-এ যেতে হয়, তাহলে এই ম্যাচ বের করা সোজা হবে না৷ কারণ, দিনরাতের খেলায় পরে যে ব্যাট করবে তার জেতার আশা বেশ কম যদি লক্ষ্যটা তিনশোর ওপরে উঠে যায়৷

প্রতিবেদন : সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী