1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রায়ের পর সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৮ নভেম্বর ২০১৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসির রায় বহাল রেখেছে আদালত৷ এদিকে এই আদেশের পরই নিরপত্তার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/1H7bs
Bangladesch Salauddin Quader Chowdhury Archivbild 2007
ছবি: Farjana K. Godhuly/AFP/Getty Images

[No title]

বুধবার দু’টি রিভিউ আবেদনই খারিজ করে আদালত৷ বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চটি রায় ঘোষণা করে৷ এ বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী৷

২০১০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরুর পর, এ দু’টি তৃতীয় ও চতুর্থ মামলা, যার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হলো৷ স্বাভাবিকভাবেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও উঠে এসেছে এ খবর৷

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগের মামলায় ২০১০ সালের ২৯শে জুন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এরপর ঐ বছরের ২রা আগস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷

২০১০ সালের ২৬শে জুন হরতালের আগের রাতে রাজধানীর মগবাজার এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী বা সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের করা হয়৷ একই মামলায় সে বছরের ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে৷ আর ১৯শে ডিসেম্বর একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় সাকাকে৷

ট্রাইব্যুনালের রায়ে রায়ে সাকা চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা মানবতাবিরোধী অপরাধের মোট ২৩টি অভিযোগের মধ্যে ১৭টির পক্ষে সাক্ষী হাজির করে রাষ্ট্রপক্ষ৷ রায়ে এগুলোর মধ্যে মোট ৯টি অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল৷ বাকি আটটি অভিযোগ থেকে অবশ্য তাকে খালাস দেয়া হয়৷ অন্যদিকে, মুজাহিদের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগগুলোর মধ্যে চারটিতে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল

বন্ধ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম

এদিকে আপিল বিভাগের রায়ের পর বাংলাদেশে নিরপত্তার কারণে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়৷ বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ হাকিম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘দুপুরে রায়ের পরপরই ফেসবুক, ভাইবার হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যাঙ্গোসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ আসে বিটিআরসি থেকে৷ এর কিছুক্ষণ পর ইন্টারনেট সেবাই পুরোপুরি বন্ধের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি৷ তাই আমরা এরপর ইন্টারনেট সেবা বন্ধ শুরু করি৷’’

তিনি আরো জানান, ‘‘সরকার সাকা-মুজাহিদের রায়ের পর নিরপত্তাজনিত কারণে এই নির্দেশ দিয়েছে৷ এটা সাময়িক৷ তবে সরকার পরবর্তী নির্দেশ না তেয়া পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকবে৷’’

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী তারানা হালিম অবশ্য দুপুরের পর ডয়চে ভেলেকে জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ১০ মিনিটের জন্য বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল৷ তাঁর কথায়, ‘‘একটি জটিলতার কারণে সাময়িকভাবে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল৷ আমরা এরইমধ্যে ইন্টারনেট সেবা চালুর নির্দেশ দিয়েছি৷ আশা করি তা চালু হয়ে গেছে৷ তবে দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ফেসবুক, ভাইবার হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার, ট্যাঙ্গোসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে৷’’

প্রসঙ্গত, আপিল বিভাগের এই রায়কে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সারা দেশে হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী৷

[No title]

নিরাপত্তার কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলি বন্ধ করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান