সাইক্লোনে ব্যাপক প্রাণহানি রোধে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ
সমুদ্র উপকূলের লাখ লাখ বাসিন্দা সোমবার তাদের এলাকায় ফিরে গেছেন৷ যদিও ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু অনেক ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে, তা সত্ত্বেও এবার প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ২৬ ব্যক্তি, যা অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশ কম৷
সপ্তাহান্তে হানা দেয় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু
শনিবার বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে সাইক্লোন রোয়ানু৷ তবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড়ের আগেই প্রায় বিশ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে৷ কেউ কেউ কর্তৃপক্ষের আহ্বান সত্ত্বেও এলাকা ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করেন৷
আশ্রয় কেন্দ্রে...
ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশে নতুন নয়৷ তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগ৷ শনিবার রোয়ানুর সময় উপকূলের অনেক মানুষ তাই আশ্রয় নিয়েছেন সাইক্লোন শেল্টারে৷ উপকূলীয় অঞ্চল এবং দ্বীপগুলোতে পর্যাপ্ত না হলেও এরকম শেল্টারের সংখ্যা অনেক৷
প্রয়োজন খাদ্য এবং অন্যান্য সহায়তা
রোয়ানুর আঘাতে প্রাণহানি কমানো গেলেও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর৷ বিশেষ করে ঘরবাড়ি হারানো মানুষদের এখন প্রয়োজন জরুরী ত্রাণ সহায়তা৷ মহেশখালি দ্বীপের কাউন্সিল প্রধান মোহাম্মেদ উল্লাহ জানান, লক্ষাধিক লোক সোমবার তাদের ভিটেবাড়িতে ফিরেছেন৷ অনেকেই এখন খাদ্য সঙ্কটে রয়েছেন৷
কমেছে প্রাণহানি
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে কয়েক লক্ষ মানুষ বাস করেন৷ ১৯৭০ সালে সাইক্লোনে প্রাণ হারিয়েছিল তিন লাখের মতো মানুষ৷ আর সর্বশেষ ২০০৭ সালে সাইক্লোন সিডরের আঘাতে তিন হাজারের মতো মানুষের প্রাণ যায়৷ সরকারি এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে নেয়া বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রাণহানি রোধে সহায়তা করেছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন৷
প্রয়োজন আরো উদ্যোগ
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতাবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় আরো উদ্যোগ প্রয়োজন, কেননা, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমান ভবিষ্যতে বাড়তে পারে৷ পাশাপাশি সমুদ্রের পানি বৃদ্ধি পেলে উপকূলীয় এলাকা তলিয়েও যেতে পারে৷