1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাইকেল আরোহীদের জন্য অত্যাধুনিক হেলমেট

২২ নভেম্বর ২০১০

সুইডেনে বাইসাইকেল আরোহীদের জন্য নতুন এক ধরণের এয়ার ব্যাগ বাজারে আসছে৷ এটি যে কোন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনার মুহূর্তে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হেলমেটের মতো মাথাকে আবৃত করে মাথা সুরক্ষা করতে পারে৷

https://p.dw.com/p/QEtC
সাইকেল, সুইডেন, হেলমেট,Helmet, cycle, sweden, Air bag
এবার নতুন ধাঁচের হেলমেট পরবেন বাইকাররাছবি: AP

সুইডিশ ভাষায় এই হেলমেটকে বলা হচ্ছে ‘হবডিং', যার অর্থ ‘প্রধান'৷ এটি স্কার্ফের মতো গলার সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে৷ যদিও এর দাম একটু বেশি৷ কিন্তু এটি নিরাপদ৷ বর্তমানে এটির দাম ৪৪৫ ডলার পড়বে বলে জানা গেছে৷

সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন পড়ার সময় ছাত্রী আনান হাউপ্ট ও তার সঙ্গী টেরেসে আলস্টিন তাদের ডিপ্লোমার অংশ হিসেবে এই হেলমেট উদ্ভাবন করেন৷ গবেষণা এবং পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ করতে তাঁদের ছয় বছর লাগে৷ তাঁরা দাবি করছেন, এই অদৃশ্য হেলমেট চুলের স্টাইলকে নষ্ট করবে না৷ তাই এতদিন যারা চুল এলোমেলো হয়ে যাওয়া এড়াতে হেলমেট ব্যবহার করেননি তাঁরা সহজেই এই হেলমেট ব্যবহার করতে পারবেন৷

২০১১ সালে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোর বাজারে এই হেলমেট নিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন সুইডিশ নারী আনা হাউপ্ট এবং টেরেসে আল্সটিন৷ আনা হাউপ্ট বললেন, ‘‘আমরা চাইছিলাম বাইসাইকেলের জন্য এমন ধরণের হেলমেট তৈরি করতে যা কিনা চুলের স্টাইলকে নষ্ট করবেনা৷''

হবডিং দেখতে ঘাড়ের কলারের মতো৷ সেখানে সেন্সর লাগানো রয়েছে৷ প্রয়োজনের সময় এয়ার ব্যাগটি বেরিয়ে আসবে এবং মাথাকে সুরক্ষা করবে৷ ফুটপাতে চলতে চলতে হঠাৎ করে থেমে গেলেই যে এই হেলমেট বেরিয়ে আসবে, তা কিন্তু নয়৷ সত্যিকারের অর্থে সেইরকম পরিস্থিতি ঘটছে কিনা এই হেলমেট নিজে থেকেই সেটি বুঝে নেবে৷ হাউপ্ট বলেন, ‘‘আমরা তাদের লক্ষ্য করেই এটা করতে চাই যারা হেলমেট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননা কিংবা চুলের স্টাইল নষ্ট হয়ে যাবে সেকথা ভেবে হেলমেট পরেন না৷''

নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে এবং ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য অনলাইনে এর ভিডিও দেখিয়ে, তারপর ডিজাইনাররা একে বাজারে আনতে চাচ্ছেন৷ একে জনপ্রিয় করে তুলতে পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বাজারে বিভিন্ন রঙের এয়ার ব্যাগ আনা হচ্ছে৷ তবে স্ক্যান্ডিনেভিয়ার বাইরের দেশগুলোর সাইকেল আরোহীরা এই এয়ার ব্যাগ হেলমেট পেতে চাইলে তাঁদেরকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক