1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সাংসদদের পদত্যাগপত্র জমা নিচ্ছেন খালেদা: সমকাল

২৫ নভেম্বর ২০১০

সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিএনপি নতুন কৌশল নিচ্ছে৷ হরতালের বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেছেন দেশের ব্যবসায়ী নেতারা৷

https://p.dw.com/p/QHa7
সরকারের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করার পথে এগোচ্ছেন খালেদা জিয়াছবি: Mustafiz Mamun

বিএনপির পরবর্তী পদক্ষেপ

শুধু হরতাল বা সরকার বিরোধী কর্মসূচি নয়, বিএনপি আরও বড় আকারের সংঘাতের পথে এগোচ্ছে বলে দাবি করছে সমকাল৷ সংবাদপত্রের প্রধান শিরোনামই হল, ‘সাংসদদের পদত্যাগপত্র জমা নিচ্ছেন খালেদা'৷ তাতে আরও লেখা হয়েছে, ইতিমধ্যে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের কাছে বেশ কয়েকজন সাংসদ পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন৷ তবে খুব শিগগির জাতীয় সংসদ থেকে তাদের পদত্যাগ করার সম্ভাবনা কম৷ সরকারকে চাপের মুখে রাখার ‘কৌশল' হিসেবে সংসদ থেকে পদত্যাগের হুমকিস্বরূপ সাংসদদের কাছ থেকে এই পদত্যাগপত্র নিয়ে রাখা হচ্ছে বলে সূত্র আভাস দিয়েছে৷ সেই সূত্র আরও জানিয়েছে, আগামী ২৯ নভেম্বর খালেদা জিয়ার সেনানিবাসের বাড়ির মামলার আপিলের শুনানির আগে সব সাংসদের কাছ থেকেই পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করা হতে পারে৷ যেসব সাংসদ পবিত্র হজ পালন এবং দেশের বাইরে রয়েছেন তাদের পদত্যাগপত্র পরে নেওয়া হবে৷

হরতালের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীরা

হরতাল রাজনৈতিক দলগুলির হাতিয়ার হলেও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উপর এর কুপ্রভাব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই৷ দৈনিক কালের কণ্ঠ লিখেছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সভায় হরতালের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের ব্যবসায়ী নেতারা৷ প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে হরতালকে একটি ‘ভোঁতা' কর্মসূচি বলে উল্লেখ করে তাঁরা বলেছেন, বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার ধকল কাটিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ রপ্তানি আয়ে রেকর্ড পরিমাণ প্রবৃদ্ধি হচ্ছে৷ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে সম্ভাবনার দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছেন৷ এমন সময় হরতালের মতো 'ধ্বংসাত্মক' কর্মসূচি দিলে ব্যবসায়ীরা বসে থাকবে না৷

BDR Schießerei
বিডিআর বিদ্রোহের বিভীষিকা আজও কাটে নিছবি: picture alliance / Photoshot

ওয়ান ইলেভেনের ঘটনায় ‘বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা'র হাত

দৈনিক ইত্তেফাক লিখেছে, ওয়ান ইলেভেনে ক্ষমতা গ্রহণকারী জরুরি অবস্থার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে সেনা সদস্যদের সহিংস ঘটনায় ভয়াবহ নির্যাতনের জন্য একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা দায়ী ছিল৷ ২০০৭ সালের আগস্টে সংঘটিত ঘটনার সোয়া তিন বছর পর এই বোমা ফাটালেন তখনকার সরকারেরই শিক্ষা উপদেষ্টা আইয়ুব কাদরী৷ গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গঠন করা তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন৷ গতকাল আরো দুইজনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা ছিল৷ তারা হচ্ছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুল করিম ও সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ৷ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশে অবস্থান করায় আব্দুল করিম ঘটনার ব্যাপারে তার বক্তব্য লিখিতভাবে কমিটিকে জানিয়েছেন৷ আর সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ সাক্ষ্য দিতে কমিটির সামনে উপস্থিত হননি৷

সংকলন: সঞ্জীব বর্মন
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়