সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে মিশরে
মুসলিম ব্রাদারহুড সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধ করতে সেনা অভিযান, অথচ অভিযানের পর থেকে মিশর শান্ত না হয়ে আরো অশান্ত৷ কায়রোর বাইরেও চলছে সংঘর্ষ৷ হতাহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷
অনেক হতাহত
আগে ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার নিশ্চয়তা দিলেও নিরাপত্তা বাহিনী মুরসি সমর্থকদের সরাতে শুরু থেকেই ব্যাপক অভিযানে নামে৷
কাঁদানে গ্যাস, তাজা গোলা-বারুদ
কায়রোয় বিক্ষোভকারী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ বাঁধে৷ বিক্ষোভকারীদের দাবি, সংঘর্ষের সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং তাজা গোলাবারুদ ব্যবহার করেছে৷ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ২৭৮ জন নিহত হওয়ার কথা বললেও মুসলিম ব্রাদারহুডের মুখপাত্র বলেছেন, নিহতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে৷
নির্দয় সেনাবাহিনী
রাবা আল-আদাউইয়া মসজিদ আর আল নাদা স্কয়ারের সামনে মুসলিম ব্রাদারহুডের দুটি সমাবেশে অভিযান চালানোর সময় শিশু বা বৃদ্ধদেরও রেহাই দেয়নি নিরাপত্তা বাহিনী৷ কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ আহত হয়েছে৷
বিমান চলাচলে বিভ্রাট
নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ এবং সেনাসদস্যরা কায়রো বিমান বন্দর ঘিরে রেখেছে৷ রাস্তার বাধাবিপত্তি পেরিয়ে যাত্রীরা সময় মতো আসতে পারছেন না বলে অনেক ফ্লাইটের সময় ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছেনা৷
নির্মমতা
রাবা আল-আদায়িয়া মসজিদের সামনে সেনাবাহিনীর অভিযান ছিল নির্মম৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিবিরের প্রবেশপথ বন্ধ করে অভিযান চালানো হয়৷ অ্যাম্বুলেন্সও ভেতরে ঢুকতে পারেনি৷
কোনো আপোশ নয়.....
গত ৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী৷ তখন থেকেই বিক্ষুব্ধ প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীরা৷ তাঁরা মনে করেন, মুরসিই মিশরের প্রকৃত নেতা৷ তাই তাঁকে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেয়ার দাবিতে মুসলিম ব্রাদারহুড এখনো অটল৷ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসতে রাজি নয় তারা৷
কায়রোর বাইরেও সহিংসতা
শুধু কায়রো নয়, আসোয়ান, লুক্সর এবং সোহাগ শহরেরও ছড়িয়ে পড়েছে সহিংসতা৷ বিক্ষোভকারীরা কপটিক চার্চ পুড়িয়ে দিয়েছেন৷ মিশরে ৮০ লাখ কপটিক খ্রিষ্টানের বাস৷ তাঁদের প্রায় সবাই মুসলিম ব্রাদারহুড বিরোধীদের সমর্থক৷
‘সহিংসতা কোনো সমাধান নয়’
মিশরের পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উদ্বিগ্ন৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে সংযত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘সহিংসতা কোনো সমাধান নয়’৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে দু পক্ষকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন৷