সর্দিতে কাবু? সমাধান কিন্তু আছে
নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝড়ছে আবার নাক বন্ধও৷ তার সঙ্গে সারাক্ষণ হাঁচি আসছে – যা শুধু বিরক্তিকরই নয়, অস্বস্তিকরও বটে! বিশেষ করে আপনি যদি চাকরিজীবী হয়ে থাকেন৷ এই অবস্থায় আপার কী করণীয় জেনে নিন৷
নাকের ‘স্প্রে’
নাক দিয়ে পানি ঝড়ছে তো ঝড়ছেই৷ সর্দির সময়সীমা যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, মেজাজ ততটাই খারাপ হচ্ছে৷ ঘুমও হচ্ছে না ঠিকমতো৷ অন্যদিকে মাথাটাও কেমন যেন ঝিম ধরে আছে৷ নিঃস্বাস নিতে হচ্ছে শুধমাত্র মুখ দিয়ে৷ কী যে যন্ত্রণা! এমন কষ্টের কথা কম-বেশি সবাই জানি, তাই না?
সর্দি
সর্দি মানেই ‘ইনফেকশন’ বা সংক্রমণ৷ আর অতিরিক্ত সর্দির ফলে নাকের ভেতরের ত্বক ফুলে যায়৷ এমনকি ঠিকমতো রক্ত সঞ্চালন না হওয়ার কারণে ভেতরের ত্বক কিছুটা শুকিয়েও যেতে পারে৷ এক্ষেত্রে নাকে স্প্রে ব্যবহার করলে সাথে সাথেই ফোলা কমে যায়৷ তবে স্প্রে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়৷ জানান ডা. ভল্ফগাং কির্শার৷
আরো চিকিৎসা
নাকের স্প্রের চেয়ে আরো হালকা ওষুধ হচ্ছে সমুদ্রের নোনা জলের সাথে খনিজ ও কার্বোনিক অ্যাসিড সম্বলিত ড্রপ৷ এই ড্রপ দেওয়ার পর নাক অতটা শুষ্ক মনে হয় না এবং নাকের ভেতরের ত্বকের আদ্রতা বজায় থাকে৷ আর ধীরে ধীরে নাকটা অনেকটা হালকা বোধ হয়৷
ইনহেলার
সর্দি হলে অনেকে সর্দি থেকে মুক্তি পেতে ইনহেলারের সাহায্য নিয়ে থাকেন৷ তবে এতে তেমন কোনো লাভ হয় না বলেই জানান জার্মানির অন্যতম ইএনটি স্পেশালিস্ট ডা. ভল্ফগাং কির্শার৷
নাকে পানির সেচ
সর্দি বা নাকের যে কোনো অপারেশনের পর নাকে পানি দিয়ে সেচ করা হয়৷ অর্থাৎ একটি বিশেষ পাত্রের মাধ্যমে নাকটি একদিক থেকে আরেকদিকে অনেকক্ষণ ধরে ধোওয়া হয়৷ এতে করে ইনফেকশন ছড়াতে পারে না এবং নাকে পানি ঢালার ফলে আরাম বোধ হয়৷ এ কথা বলেন ডা. মিরিয়াম ওরিৎস৷
গরম পানীয়
ঠান্ডা লাগলে গরম খাবার, স্যুপ বা কুসুম গরম পানীয় পান করলে খানিকটা যে আরাম বোধ হয়, তা সকলেই স্বীকার করবেন৷ সাম্প্রতিক এক গবেষণার ফল থেকে জানা গেছে, আপেল ও কারান্টের (কিশমিশের মতো একটা ফল) গরম জুস বা রস পান নাকি সর্দি-কাশি এবং গলাব্যথা কমাতে সাহায্য করে৷
যেভাবে ঘুমাবেন
সর্দি থাকা অবস্থায় অনেকেরই চিত হয়ে ঘুমালে নিঃস্বাস নিতে কষ্ট বা অসুবিধা হয়৷ এ সমস্যার সহজ সমাধান হলো, মাথাটাকে একটু উঁচু করে, অর্থাৎ সম্ভব হলে দু’টো বালিশ ব্যবহার করে শু’লে অনেকটা আরাম বোধ হবে৷ এই পরামর্শও দিয়েছেন ডা. কির্শার৷