‘সরি জার্মানি’
১০ জুলাই ২০১৪সামহয়্যার ইন ব্লগে জে.এস. সাব্বির লিখেছেন, ‘‘মেসির জন্য শুভকামনা রইল৷ রোমেরোর দুইটি অবিশ্বাস্য সেভ জয় এনে দিল ১৯৯০ বিশ্বকাপের পর থেকে ফাইনালের মুখ না দেখা আর্জেন্টিনাকে৷''
তিনি এই দুই দলের খেলার ইতিহাস তুলে ধরেছেন৷ লিখেছেন, ‘‘সাম্প্রতিক ফর্ম বিবেচনা অনেকেই ফেবারিট মানবে জার্মানিকে৷ কিন্তু ইতিহাস কথা বলছে আর্জেন্টিনার পক্ষে৷ প্রথমত, ইউরোপের কোনো দেশ ল্যাটিন অ্যামেরিকায় এসে বিশ্বকাপ জেতেনি কখনো৷ দ্বিতীয়ত, এবার নিয়ে তিনবার বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি আর্জেন্টিনা-জার্মানি৷ আগের দুটির ফলাফল: প্রথমটি আর্জেন্টিনা, দ্বিতীয়টি জামার্নি, সুতরাং তৃতীয়টা পাচ্ছে আর্জেন্টিনা! তা না হলে যে চক্র সম্পূর্ণ হয় না৷''
একই ব্লগে মাহফুজ আজিম লিখেছেন, ‘‘অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে দুই যুগ পর আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তুললেন গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরো৷ আর্জেন্টিনাকে ভীষন বিপদ থেকে বাঁচিয়ে দেন হাভিয়ের মাসকেরানো৷ অভিনন্দন আর্জেন্টিনাকে!!''
ফেসবুক পাতায় নাজনীন জাহান মিথুন লিখেছেন, ‘‘আর্জেন্টিনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন৷ ১৯৯০ সাল থেকে আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক৷ সেই থেকে দলটি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার সুযোগ পায়নি৷ কিন্তু তারপরও আমার ভালোবাসার কমতি হয়নি৷ আমি সমর্থন করে গেছি৷ গত ২৪ বছরে প্রতিটি বিশ্বকতাপেই হতাশ হতে হয়েছে আমাকে৷ এই প্রথম আমি বিশ্বকাপ ফাইনাল প্রাণভরে উপভোগ করব৷ জিতুক বা না জিতুক আমি আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করেই যাব৷''
বাংলাদেশে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক দ্বন্দ্ব৷ কিন্তু যাঁরা খেলা বোঝেন, তেমন ব্রাজিল সমর্থকরাও কিন্তু স্বীকার করেছেন যে আর্জেন্টিনা ভালো খেলেই জিতেছে৷ এমনই এক সমর্থক বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলের ক্রীড়া সাংবাদিক রুহুল মাহফুজ জয় লিখেছেন, ‘‘সরি জার্মানি৷ বিশ্বকাপ ল্যাটিন অ্যামেরিকাতেই থাকবে৷ ঈশ্বর লিওনেল মেসির হাতে ওই সোনায় মোড়া কাপটা দেখতে চান৷ ডেমিচেলিসকে একাদশে আনার পর থেকে আর্জেন্টিনার ডিফেন্সের চেহারা পাল্টে গেছে৷ আর্জেন্টিনার মিডফিল্ড আর ডিফেন্স এত জমাট লাগছে মাসকেরানোর জন্য৷ আক্রমণভাগেও গতি আছে পেরেজ, হিগুয়াইন আর লাভেজ্জির শতভাগ দেবার চেষ্টার জন্য৷ আর মেসি তো মেসিই৷''
পামির শাহরিয়ার ব্রাজিলের অন্যতম সমর্থক এবং একটি চ্যানেলে বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ বিশ্লেষণ করেন তিনি৷ লিখেছেন, ‘‘বেস্ট ল্যাটিন টিম ভার্সেস বেস্ট ইউরোপীয়ান টিম৷ ব্রাজিল ভক্তদের এই সত্যটা মেনে নিতে হবে৷ আমি নিজেও ব্রাজিল ফ্যান৷''
সাঈদ মাহমুদ ইমন লিখেছেন, ‘‘ঠিক ২৪ বছর আগে ১৯৯০ সালের জুলাই মাসের 8 তারিখ বিশ্বকাপ ফাইনালে জার্মানির কাছে পরাজিত হয় আর্জেন্টিনা৷ আমাদের জেনারেশনের প্রথম প্রকৃত অর্থে বিশ্বকাপ অভিজ্ঞতা সে বছর৷ এখন যেমন মেসির ভক্ত (জি আমি ব্রাজিলের সমর্থক) তখন ছিলাম মারাডোনার৷ তাই অবধারিত ভাবেই সমর্থন ছিল আর্জেন্টিনার প্রতি৷ মাঝে দুই দলের আরো দেখা হলেও আজ ২৪ বছর পর সুযোগ এসেছে আরেক ফাইনালে মুখোমুখি হবার৷''
শেষ করছি একটি ছড়া দিয়ে৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে লিখেছেন আরাফাত রহমান৷
‘‘বিশ্বকাপের জ্বরে
বউ পোলাপাইন কেউ থাকে না ঘরে৷
বাড়িওয়ালা টিভির ঘরে
মারল তালা শক্ত করে
পোলাপানের ডরে৷''
সংকলন: অমৃতা পারভেজ
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ