সরকার সাংবাদিকদের উপর ‘অনেক নির্যাতন করছে' | পাঠক ভাবনা | DW | 14.08.2015
  1. Inhalt
  2. Navigation
  3. Weitere Inhalte
  4. Metanavigation
  5. Suche
  6. Choose from 30 Languages

পাঠক ভাবনা

সরকার সাংবাদিকদের উপর ‘অনেক নির্যাতন করছে'

‘আমার দেশ' পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সম্পদের হিসাব না দেয়ায়, তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত৷ তাঁর আইনজীবীর মতে, এই মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেমূলক৷ ডিডাব্লিউ-র অনেক পাঠকও তা মনে করেন৷

সাংবাদিকদের উপর কী ধরনের নির্যাতন হচ্ছে, ডয়চে ভেলের এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি দিয়েছেন কিছু উদাহরণ: ‘‘বেসরকারি চ্যানেল দিগন্ত টিভি টক'শো-তে সরকারের খারাপ দিকগুলি তুলে ধরাতে, বন্ধ করে দেয়া হয় তাদের চ্যানেল! একুশে টিভির স্ট্রিট শো-তে কনক সারোয়ার তুলে ধরে ছিল সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের অনীহা৷ তাই তাঁকেও চাকরি হারাতে হয়েছিল৷ বাংলাভিশন-এ মতিউর রহমানের উপস্থাপনায় সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা হলে, তা-ও বন্ধ করা হয়৷ মতিউর রহমানের উপস্থাপনার টক'শো-তে, ‘আমার দেশ' পত্রিকা ভোট জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ করায় তাঁর অফিসে ভাঙচুর চালিয়ে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় মাহমুদুর রহমানকে৷ শুধু তাই নয়, এখনো সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনি হত্যার বিচার হয়নি৷''

বর্তমান সরকারের কার্যকলাপে অসন্তুষ্ট ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু ইসলামও৷ মাহমুদুর রহমানের তিনি বছরের কারাদণ্ডের রায়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই মামলার রায় দেওয়া হয়েছে!!

বিরোধী দল নামক হিজড়াদের নিজেদের বাহুতে রেখে আর অন্য সব দলকে কোণঠাসায় রেখে একনায়কতন্ত্র কায়েম করছে সরকার!!! বাকশাল করে মুজিব টিকেনি, ইনশাআল্লাহ হাসিনাও পারবে না টিকতে!''

নাজমুল ইসলাম নাঈমও এ বিষয়ে একমত পেষ করেন আর তিনি বেশ পরিষ্কারভাবেই লিখেছেন সেকথা৷ তাঁর ভাষায়, ‘‘এটা অবশ্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও নিন্দনীয় কাজ....কারণ বিগত সামরিক সরকার থাকা অবস্থায় সকল দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদেরকে ধরা হচ্ছিল (এমনকি বাংলাদেশের সবচেয় বড় দুই নেত্রীকেও ছাড়া হয়নি)৷ তখন তৎকালীন সামরিক সরকার মাহামুদুর রহমানের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ আনতে পারে নাই এবং দুর্নীতির কোনো প্রমাণও পায় নাই৷'' ‘‘ভালো মানুষ বাংলাদেশে থাকতে পারবে না'' – বর্তমান সরকার সম্পর্কে মোফাজ্জল হকের এই ধারণা৷

তবে ভিন্নমতও রয়েছে৷ উপরের মন্তব্যগুলো পড়ার পর ফেসবুকবন্ধু মোস্তফা কামালের মন্তব্য এ রকম: ‘‘উপরে উল্লেখিত ভাইদের বলছি, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকানি দাতা....ধর্ম বিক্রেতা একজন চিহ্নিত দুনীতিবাজের সাজা সবার কাম্য৷'' তিনি শেষে লিখেছেন, ‘‘তবে একজনকে বলার আগে নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন৷''

অন্যদিকে সাজ্জাদ হোসেন সাকু কিন্তু মাহমুদুর রহমানকে দুর্নীতিবাজ হিসেবেই দায়ী করছেন এবং তাঁর সাজা হওয়ার পক্ষেই মত দিয়েছেন৷ ইব্রাহিম নিপু মনে করেন, ‘‘সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকানি দাতা হিসেবে ‘মাহমুদুর রহমানের ফাঁসি হওয়া উচিত৷''

ডয়চে ভেলের ফেসবুক বন্ধু আবদুর রহিম বলছেন, ‘‘মাহমুদুর রহমান একজন কলম সৈনিক আর এই কলম সৈনিক হওয়াই তাঁর জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে৷''

তিনি আরো জানিয়েছেন, ‘‘যেসব সংবাদমাধ্যম বর্তমান সরকারের পক্ষে কথা বলে, তারা অপরাধ করলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় না৷'' ডা. এমরান হোসেন বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে ‘পাগল' বলে মন্তব্য করেছেন৷

অন্যদিকে বিবর্ণ সিফাত মাহমুদুর রহমানকে সাহস দিয়েছেন এভাবে, ‘‘মাহমুদুর রহমান, ভয় নাই, ইতিহাস কাপুরুষ ও বেহায়াদের জন্য নয়৷''

মো. মামুনের কথায়, ‘‘মাহমুদুর রহমান একজন সৎ ও নিখুঁত মানুষ এবং তাঁর সাহসিকতার জন্য তাঁকে সেলুট জানাই৷'' আকবর হোসেনও অনেকের মতো বলছেন যে, মাহমুদুর রহমানের তিন বছরের কারাদণ্ডের রায় একটি রাজনৈতিক মামলা৷

মেনন রাশেদের মতেও এটা রাজনৈতিক ইস্যু৷ ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় তিনি জানিয়েছেন, ‘‘মাহমুদুর রহমান আসলে একজন নীতিবান মানুষ৷ হাসিনা নিজে বেআইনি কাজ করেন এবং তাঁর সরকারের কর্মকাণ্ডও বেআইনি৷''

সংকলন: নুরুননাহার সাত্তার

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

নির্বাচিত প্রতিবেদন