সমুদ্র সৈকতে বালুর দুর্গ
বিশ্বের সব সমুদ্র সৈকতেই প্রতিদিন কেউ না কেউ মাতেন অদ্ভুত এক খেলায়৷ বিশ্বের অনেক দেশে সেই খেলা শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে৷ বালু দিয়ে দুর্গ গড়া! দেখুন তারই অসাধারণ কিছু নমুনা৷
ঘর বাঁধা বাঁধা খেলা
শৈশবে সুযোগ পেলে বালু দিয়ে ঘর বাঁধা বাঁধা খেলেনি এমন মানুষ পৃথিবীতে কমই আছে৷ শৈশবের এই নেশা অনেকে আবার চিরকাল ধরে রাখেন – সমুদ্রের কাছে গিয়ে বালু দিয়ে গড়ে তোলেন অসাধারণ সব শিল্পকর্ম৷
অনন্য বেলজিয়াম
বালু দিয়ে শিল্প সৃষ্টিতে বেলজিয়ানদের জুড়ি মেলা ভার৷ এই শিল্পকে নিজেদের সংস্কৃতির অংশ করে ধরেও রেখেছে দেশটি৷ দারুণ একটা উৎসব হয় সেখানে৷ সে উৎসবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত লোক শুধু বালু দিয়ে দুর্গ, মূর্তি ইত্যাদি গড়ে৷ বন্দর নগর অস্টেন্ডেতে ক’দিন আগেও হয়ে গেল এমন এক উৎসব৷
বরফ-রানি
অস্টেন্ডের উৎসবে এখন বরফ রানি ‘এলসা’-র রাজত্ব৷ ১২টি দেশের ৩০ জন শিল্পীর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল ‘এলসা’৷ শিল্পীরা কাজটি করেছেন ডিজনি গ্রুপের হয়ে৷ ঝড়-বৃষ্টি সামলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ অবস্তাতেই থাকবে অপূর্ব সুন্দর এই বালুর মূর্তি৷ এমন পরিকল্পনা মাথায় রেখেই ‘এলসা’-কে গড়েছেন শিল্পীরা৷
সমুদ্রের দেবতা
বালু দিয়ে দুর্গ বা মূর্তি গড়া অস্ট্রেলিয়াতেও বেশ জনপ্রিয়৷ মেলবোর্নে প্রতি বছর আয়োজন করা হয় এমন শিল্পের প্রদর্শনী৷ ওপরের ছবিটি ২০১৩ সালের প্রদর্শনীর৷ সেবার প্রদর্শনীর ‘থিম’ ছিল ‘আন্ডার দ্য সি’, অর্থাৎ সমুদ্রের নীচের জগত৷ তাই গ্রীক পুরান থেকে উঠে এসেছিলেন সমুদ্রের দেবতা পসিডন৷
রহস্য
‘বালুর বাঁধ’ মানেই নাকি ভঙুর কিছু৷ কিন্তু বালি দিয়ে গড়া মূর্তি, দুর্গ বা অট্টালিকা কেন এত উঁচু, এত বড় হলেও ভাঙে না? রহস্যটা কী? আসলে নাজুক বালুর স্বভাব বদলাতে অনেক রকমের কৌশলের আশ্রয় নিতে হয় শিল্পীদের৷ কখনো কখনো খুব ভারি কিছু দিয়ে চেপে বালুকে পাথরের মতো শক্ত করা হয়৷ সুইজারল্যান্ডের রহশাস-এর এক উৎসবে প্রদর্শিত এই মূর্তিটিকে ওভাবেই শক্ত করা হয়েছিল৷
সবচেয়ে বড় জাদুঘর
জাপানেও সমুদ্র আছে, বালু নিয়ে শিল্পের খেলাও আছে সেখানে৷ ২০০৬ সালে বালু-শিল্প নিদর্শনের সবচেয়ে বড় জাদুঘরটির উদ্বোধন হয়েছে টোট্টরি শহরে৷ এছাড়া আশিয়া সমুদ্র সৈকতে বালু দিয়ে মূর্তি তৈরির উৎসবও হয় প্রতি বছর৷
শিশুগন দেয় মন.....
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান বা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য সব দেশের অজপাড়াগাঁয়ের শিশু-কিশোরদের মতো ইউরোপ-অ্যামেরিকার শিশু-কিশোররাও বালু পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে৷ নিমেষেই তারাও মেতে ওঠে স্বপ্নের সৌধ গড়ার খেলায়৷