সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা গড়বে ন্যাটো
২০ নভেম্বর ২০১০নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
ন্যাটোর সর্বশেষ কৌশলপত্র নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে৷ এরপর গত ১১ বছরের বেশিরভাগ সময় এই জোটের দেশগুলো ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে৷ এই সময়ের মধ্যে নিরাপত্তা ক্ষেত্রেও অনেক পরিবর্তন এসেছে৷ সন্ত্রাস, সাইবার অপরাধ ও পাইরেসির মত বিষয় যুক্ত হয়েছে৷ ন্যাটোর নতুন কৌশলপত্রে এসব বিষয়কে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং এগুলো প্রতিরোধে একটি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে৷ তবে এর মধ্যে যে বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য তা হলো নতুন ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা৷ ন্যাটোর দেশগুলো এই প্রথমবারের মত এই বিষয়টিতে একমত হয়েছে৷ ফলে কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপের অনেক দেশই একটি সমন্বিত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে থাকবে৷ কিন্তু এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেন? ন্যাটো মহাসচিব আন্ডার্স ফগ রাসমুসেন এই ব্যাপারে বলেন, ‘‘ঘটনা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় ত্রিশটিরও বেশি দেশের হাতে এখন ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি রয়েছে৷ তাদের কেউ কেউ অ্যাটলান্টিকের পাড়ের ইউরোপের দেশগুলোতে আঘাত হানতে সক্ষম৷ এই হুমকি ঠেকাতেই আমরা এই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাচ্ছি৷''
রাশিয়ার অংশগ্রহণ থাকছে কি?
এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় রাশিয়া থাকছে কিনা সেটি একটি বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে৷ তাই নয় কি? আজ শনিবার ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দেবেন রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ৷ সুতরাং এই বিষয়ে একটি বড় অগ্রগতি আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা৷ ন্যাটো মহাসচিব রাসমুসেন বলেছেন, ‘‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য আমরা রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক শুরু করবো৷ এর পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় খরচ কমিয়ে জোটের শক্তি বৃদ্ধির জন্য আরও অর্থ বিনিয়োগ করা হবে৷''
আফগানিস্তান প্রসঙ্গ
এদিকে ন্যাটো সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে আফগানিস্তান৷ আজ সম্মেলনের আলোচনা থাকবে মূলত আফগানিস্তানের দিকে৷ তবে গতকালই প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর বক্তব্যে আফগানিস্তান প্রসঙ্গ তুলে এনেছেন৷ তিনি কি বলেছেন সেখানে? তিনি জানিয়েছেন আগামী বছর থেকে আফগানিস্তানে অভিযানের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে৷ কারণ আগামী বছর মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরুর কথা, এর পাশাপশি আফগান সেনারা নিরাপত্তার দায়িত্ব তুলে নিতে শুরু করবে৷ সেই পরিপ্রেক্ষিতে ন্যাটো এবং আইসাফ বাহিনীর একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ওবামা৷
প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম
সম্পাদনা: সাগর সরওয়ার