1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সবুজের ভারসাম্য রেখেই নগর উন্নয়ন পরিকল্পনায় বার্লিন

১৭ এপ্রিল ২০১১

বার্লিন – গাছপালা ও জলাশয়ের মাঝে ইউরোপের যে শহরটি তার জায়গা করে নিয়েছে৷ রাজধানী বার্লিনের প্রায় অর্ধেক জায়গা রয়েছে প্রকৃতির সান্নিধ্যে৷ কিন্তু নগর উন্নয়নের নতুন পরিকল্পনাতেও কি এই শহরটি আগের মতো সবুজ থাকবে?

https://p.dw.com/p/10utx
সবুজ বার্লিনছবি: AP

১৯৩০ সালে ফরাসি কূটনীতিক এবং লেখক জঁ জিরাদু লিখেছিলেন, ‘‘বার্লিন বাগানের শহর নয়, কেননা গোটা শহরটাই একটা বাগান৷''

নগরটির উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বার্লিন সরকারের খোলা জায়গা পরিকল্পনা দপ্তরের প্রধান কর্মকর্তা বেয়াটে প্রফে বলেন, ইউরোপের অন্যান্য শহরের তুলনায় বার্লিন অনেক বেশি সবুজ৷ রাজধানীর প্রায় ৪৬ শতাংশ এলাকা জুড়ে রয়েছে গাছগাছালি এবং পানি৷ তিনি জানান, তাঁর অফিসের জানালায় পাখিরা এসে কিচিরমিচির করে৷ বলেন, বার্লিনবাসী সবুজকে ভালোবাসেন এবং এর পরিচর্যাও করেন৷

তিনি ঠিকই বলেছেন৷ ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শহরবাসীর ঢল নামে স্কোয়ার, পার্ক, বন এবং খালের আশেপাশে৷ শিশুদের পাশাপাশি তারা সঙ্গে নিয়ে আসেন কুকুর, খাবার-দাবার, খেলার জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র, সাইকেল, বই ইত্যাদি৷ এটা একরকম তাঁদের ঐতিহ্যেই পরিণত হয়েছে৷

কিন্তু নগর উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে অনেকেই শঙ্কা প্রকাশ করছেন৷ শেষ পর্যন্ত কি তাঁদের এতদিনের পুরোনো পার্কগুলো টিকে থাকবে? যদিও নগর উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, সবুজের ভারসাম্য রক্ষা করেই নগর উন্নয়ন করা হচ্ছে৷

শ্যোনেব্যার্গ এলাকার দক্ষিণে বিশাল পার্কের মতো কিছু জায়গার সুরক্ষার বিষয়ে ইতোমধ্যে সোচ্চার হওয়ার কারণে সে জায়গাগুলোর ভবিষ্যৎ অনেকটাই নিশ্চিত৷ কিন্তু অনেকেই ভীত এই ভেবে যে, নগর উন্নয়নের ফলে অন্যান্য আরও অনেক খোলা জায়গা হয়ত ভবিষ্যতে আর থাকবে না৷ ফলে সবুজের শহর হিসেবে এতোদিন ধরে যে খ্যাতি রয়েছে তা হারাবে বার্লিন৷

কিন্তু প্রফে এই ব্যাপারে অনেক বেশি আশাবাদী৷ বলেন, টেগেল বিমানবন্দর বন্ধের কাজ চলছে৷ এতে করে বার্লিনবাসী আরও ৪৬০ হেক্টর সবুজ জায়গা পাবেন৷ তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে একটার পর একটা পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাবে বার্লিন৷ আগামী ২০ থেকে ৩০ বছর পরেও এই শহরের প্রাণকেন্দ্রে ফাঁকা জায়গা থাকবে, যেখান থেকে রাজধানীর সৌন্দর্য দেখা যাবে এবং একে নতুন করে আবিষ্কার করা যাবে৷''

প্রফে বলেন, কিছু বাড়িঘর নির্মাণ হবে, সেকথা ঠিক৷ কিন্তু সব জায়গায় নয়৷ আমাদের উন্মুক্ত জায়গার অভাব নেই৷

প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন