সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীর দেশ ভারত
আগে বলা হতো ‘যার হয় যক্ষ্মা, তাঁর নাই রক্ষা’৷ যক্ষ্মা এখন চিকিৎসাযোগ্য৷ অনেক দেশ থেকেই এই রোগ প্রায় নিশ্চিহ্ন৷ তবে ভারতে যক্ষ্মার রোগী এখনো খুব বেশি৷ সবচেয়ে বেশি যক্ষ্মা রোগীর দেখা তাই মিলবে ভারতেই৷
সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ কম কার্যকর
দুই সপ্তাহের বেশি সর্দি-কাশি? তাহলে ধরে নিতে হবে আপনার টিবি বা যক্ষ্মা হওয়ার আশঙ্কা আছে৷ এ কথা জানিয়ে নাগরিকদের সতর্ক করার চেষ্টা কয়েক বছর আগেই শুরু করেছে ভারত সরকার৷ কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হচ্ছে না৷ দেশে যক্ষ্মা রোগী বেড়েই চলেছে৷
রোগী বাঁচাতে গিয়ে সেবিকার মৃত্যু
পশ্চিমবঙ্গের সিউড়ির এক হাসপাতালের একটি খবর কয়েকদিন আগে সংবাদ শিরোনামে এসেছিল৷ হাসপাতালটি যক্ষ্মা রোগীদের জন্যই বিশেষায়িত, অথচ সেখানে রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে এক নার্সই মারা গেলেন যক্ষ্মায় ভুগে৷ এমন খবর সংবাদমাধ্যমের নজর তো কাড়বেই!
হাসপাতালেরই চিকিৎসা দরকার!
হ্যাঁ, সিউড়ির যক্ষ্মারোগ হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে নার্সের মারা যাওয়ার খবর শুনে অনেকেই বলেছেন, ‘রোগীর আগে হাসপাতালটিরই চিকিৎসা দরকার৷’ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওই হাসপাতালের বেশিরভাগ কর্মচারীই টিবি ভাইরাসে সংক্রমিত৷ প্রতিদিন নাকি অন্তত ছয়জন রোগীকে লাশ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে হয়৷ .
হাসপাতালের দুর্দশা
নার্সের যক্ষ্মায় ভুগে মৃত্যু ওই হাসপাতালকে এতটাই আলোচনায় এনেছে যে, সব ত্রুটি-বিচ্যূতিই উঠে আসছে সংবাদমাধ্যমে৷ হাসপাতালে বিড়াল ঘুরে বেড়াচ্ছে – এমন ছবিও প্রকাশ করছে সংবাদমাধ্যমগুলি৷
ছুটিতে গেলে আর ফেরে না...
১২০’শ শয্যার ওই হাসপাতালটির এক কর্মী জানিয়েছেন, যক্ষ্মার ভাইরাসে সংক্রমিত বেশ কয়েকজন কর্মী অসুস্থতার কারণে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে আর ফেরেননি৷ তাঁরা বেঁচে আছেন, নাকি মারা গেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও তা জানে না৷
সব সরকারি হাসপাতালের অবস্থা এক
ভারতের সব সরকারি হাসপাতালের অবস্থাই প্রায় এক৷ সিউড়ির হাসপাতালটির মতো অ্যান্যান্য যক্ষ্মা হাসপাতালেও চিকিৎসক, নার্স এবং রোগীসহ সবাই কোনো ‘মাস্ক’ না পরেই ঘুরে বেড়ান৷ বেশির ভাগ সরকারি হাসপাতালই অপরিচ্ছন্ন৷ অথচ যক্ষ্মা হাসপাতাল পরিচ্ছন্ন রাখা তো বটেই, সেখানে সবার মাস্ক পরাটাও জরুরি৷