সন্ত্রাস বাংলা ছাড়ো : লালগড়ে মমতা
৯ আগস্ট ২০১০৯ অগাস্ট মহাত্মা গান্ধী ডাক দিয়েছিলেন ইংরেজ ভারত ছাড়ো৷ এই সন্ত্রাসবিরোধী গণতান্ত্রিক মঞ্চ থেকেও ডাক দেওয়া হচ্ছে, সন্ত্রাস বাংলা ছাড়ো৷ লালগড়ের জনসভায় দাঁড়িয়ে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মাওবাদী অধ্যুষিত লালগড়ে এদিনের এই জনসভা নিয়ে নিরাপত্তা বিপন্ন হওয়ার আশংকা ছিল৷ খোদ মমতাই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন যে মাওবাদীদের নাম করে সিপিএম তাঁকে মারার ষড়ষন্ত্র করেছে৷ কিন্তু এদিন আইন শৃংখলা জনিত কোনও সমস্যা হয়নি৷ বরং সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে লালগড় আসতে হলে বন্দুক নিয়ে আসতে হয়, কিন্তু তাঁর লালগড় আসার জন্য সঙ্গে বন্দুক আনতে হয় না৷ যদিও কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর নিরাপত্তার জন্য এদিন লালগড়ে বন্দুকধারীদের সংখ্যা যথেষ্টই ছিল৷ রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি পাহারার দায়িত্বে ছিল সশস্ত্র সিআরপিএফ৷
মমতা এদিন মাওবাদীদের উদ্দেশে বলেন, সন্ত্রাস ছেড়ে আলোচনার রাস্তায় আসতে৷ যে কোনও দিন যে কোনও জায়গায় আলোচনায় বসার জন্য তিনি তৈরি৷ কেন জঙ্গলমহল অশান্ত হয়ে উঠল, সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও বুদ্ধবাবুরা লালগড়ে একটিও হাসপাতাল বানাতে পারেনি৷ এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলো ধুঁকছে৷ এর পড়েও প্রশ্ন করতে হবে কেন মাওবাদীরা তৈরি হচ্ছে৷ মমতা এদিন সভামঞ্চ থেকেই স্থানীয় স্কুলটির জন্য দু লক্ষ টাকা তাঁর সংসদ তহবিল থেকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন৷ বলেন, সন্ত্রাস নয়, উন্নয়নের জন্য আন্দোলন গড়ুন৷ মাওবাদীদের কাছে তিনি এদিন আবেদন জানিয়েছেন রেলপথে নাশকতা না করার জন্য৷ তিনি বলেন, সিপিএম পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে৷ নাশকতা থেকে রাজনৈতিক খুন, সব নিজেরা করে দোষ চাপাচ্ছে মাওবাদীদের ঘাড়ে৷
মমতার লালগড়ের সভায় এদিন হাজির ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী, মেধা পাটেকার, স্বামী অগ্নিবেশ এবং পরিবর্তনকামী বুদ্ধিজীবিদের একাংশ৷ লালগড় এবং সেখানে যৌথ বাহিনীর অভিযান নিয়ে তৃণমূলের যিনি সবথেকে সরব থাকেন, সেই সাংসদ কবীর সুমন-কে যদিও এদিন সভায় দেখা যায়নি৷
প্রতিবেদন: শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ