সন্ত্রাসী হামলার সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে ইরাক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১০সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকির সূচকে আবারও নতুন করে উঠে এসেছে আফগানিস্তান এবং ইরাকের নাম৷ ২০১০ সালে দুটি দেশই সন্ত্রাসবাদ সমস্যা সমাধানের প্রশ্নে বিরাট এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে৷ সন্ত্রাসবাদের ওপর তৈরি এই সূচক পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, ইরাক তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি করেছে ঠিকই৷ কিন্তু যে মাত্রায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বেড়ে চলেছে তা এই দেশটিকে সবচেয়ে বেশি হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে৷ রাজনৈতিক দিক থেকে অসহিষ্ণু অবস্থার কারণে দেশটিতে ২০০৯ সালে ৪,৫০০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে৷ ২০০৯ সালে থাইল্যান্ডে এক হামলার ঘটনায় ২ জন নিহত এবং ৪২ জন আহত হন৷ আর ১৯৬ টি সন্ত্রাসী হুমকির ঝুঁকি সম্পন্ন দেশগুলোর মধ্যে এখন থাইল্যান্ড নবম স্থানে৷
মোপেলক্রফ্ট-এর সূচক অনুযায়ী, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, পাকিস্তান তৃতীয়, সোমালিয়া চতুর্থ, লেবানন পঞ্চম, ভারত ষষ্ঠ, আলজেরিয়া সপ্তম, কলাম্বিয়া অষ্টম এবং থাইল্যান্ড নবম স্থানে৷
প্রতিটি ঘটনার সহিংসতার মাত্রা, দেশটিতে উগ্র সন্ত্রাসী হামলার পূর্ব ইতিহাস পর্যালোচনা এবং আল-কায়দার মত বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে পাওয়া হুমকির ওপর ভিত্তি করে এই সূচক তৈরি করা হয়৷ মোপেলক্রফ্ট এর রাজনৈতিক সহিংসতা বিশ্লেষক এফা মলিন বলেন, ব্যাপক হামলার সংবাদ দিয়ে সংবাদ মাধ্যমগুলো এই বিষয়ে জনমতকে প্রভাবিত করতে পারে৷ তিনি আরও বলেন, ছোট ছোট বিচ্ছিন্ন ঘটনা অনেক সময়ই সংবাদ হিসেবে প্রকাশিত হয় না৷
গত দুই বছরে ইরাকে সহিংসতার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ ৭ই মার্চের পার্লামেন্ট নির্বাচন এবং ২০১১ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা উঠিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষ একটি সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে সেখানে৷ ২০১০ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্র তার সেনাসংখ্যা পঞ্চাশ হাজারে নামিয়ে আনবে৷ আর এই বছর আফগানিস্তানে ৩০ হাজার বাড়তি সেনা পাঠানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে৷
সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি সম্পন্ন অন্য দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনস-এর স্থান ১০, ফিলিস্তিনি ভূখন্ড ১১, তুরস্ক ১৪, রাশিয়া ১৫, ইসরাইল ১৭, নাইজেরিয়া ২৪ এবং স্পেন ৩৪ তম স্থানে রয়েছে৷ এছাড়া ব্রিটেনের স্থান এই সূচকে ৪১, যুক্তরাষ্ট্র আর জার্মানির স্থান যথাক্রমে ৪৬ এবং ৮১৷
প্রতিবেদক: আসফারা হক
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক