1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সন্ত্রাসবাদ ও ব্রিটেনের মুসলিম সমাজ

ইওয়ানা ইম্পে/এসি১৯ নভেম্বর ২০১৩

লন্ডনের খোলা রাস্তায় একজন ব্রিটিশ সৈন্যকে নির্মমভাবে হত্যা সংক্রান্ত মামলা শুরু হতে চলেছে৷ ইসলামধর্মে ধর্মান্তরিত দু'জন ব্রিটিশ নাগরিক এই মামলার অভিযুক্ত৷ অপরদিকে ব্রিটেনের মুসলিম সমাজ উদ্বিগ্ন ও দ্বিধাবিভক্ত৷

https://p.dw.com/p/1AKEf
GettyImages 178918900 Syrian refugees arrive in Turkey at the Cilvegozu crossing gate of Reyhanli, in Hatay, on August 31, 2013. Syrian President Bashar al-Assad vowed on August 31, 2013 to defend Syria from attack as Washington and London laid out their case for punitive military strikes against Damascus over suspected poisonous gas attacks. Hundreds of people including children were reportedly killed when poisonous gas was unleashed on the outskirts of Damascus on August 21. AFP PHOTO / BULENT KILIC (Photo credit should read BULENT KILIC/AFP/Getty Images)
ছবি: Bulent Kilic/AFP/Getty Images

২২ মে, ২০১৩৷ লন্ডনের উলউইচ এলাকার সেনাছাউনির সামনে ব্রিটিশ সৈন্য লি রিগবি-কে হত্যা করা হয়৷ এই হত্যাকাণ্ডের ফলে জনমানসে বিপুল প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় – বিশেষ করে হত্যাকারীদের একজন যখন অকুস্থলেই ক্যামেরার সামনে ঘোষণা করে যে, প্রতিশোধ নেবার জন্য সৈন্যটিকে হত্যা করা হয়েছে৷ আততায়ীর যুক্তি: ব্রিটিশ সৈন্যরাও তো মুসলিমদের হত্যা করে থাকে৷

অথচ গত সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশি জেরায় মাইকেল আদেবোলাইও ও মাইকেল আদেবোয়ালে দু'জনেই নিজেকে নির্দোষ বলে চিহ্নিত করে৷ গতকাল তাঁদের মামলার শুনানি শুরু হয়েছে৷ লি রিগবি-র হত্যাকাণ্ডের পর ব্রিটেনে মুসলিম ও মসজিদের উপর আক্রমণের সংখ্যা লক্ষণীয়ভাবে বেড়ে যায় – যদিও ব্রিটেনের মুসলিম ধর্মীয় নেতারা প্রায় সকলেই রিগবি-র হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করেছিলেন৷

ব্রিটেনে প্রায় ত্রিশ লাখ মুসলিমের বাস – যাঁদের মধ্যে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূতদের সংখ্যাও কম নয়৷ এবং এক বিচারে এরা পড়েছেন উভয়সংকটে, কেননা একদিকে ইংলিশ ডিফেন্স লিগ-এর মতো চরম দক্ষিণপন্থি সংগঠনগুলি ইসলাম-বিরোধী মনোভাবে উস্কানি দিচ্ছে – ফুটবল মাঠের ব্রিটিশ হুলিগ্যানদের থেকেই যে ইডিএল-এর সৃষ্টি৷ অপরদিকে রয়েছে ইসলামি চরমপন্থিরা, যারা মুসলিমদের অসন্তোষ ও বিচ্ছিন্নতার সুযোগ নিয়ে সদস্য ও সমর্থন সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে৷

এই দু'য়ের মাঝখানে একটি তৃতীয় শক্তি হিসেবে কিলিয়াম ফাউন্ডেশনের মতো সংগঠনগুলি কাজ করছে, যারা স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে একযোগে মুসলিমদের ব্রিটিশ সমাজে অন্তর্ভুক্তি ও যুগপৎ সন্ত্রাসবাদ রোখার জন্য সক্রিয়৷ এবং সে কাজও যে পুরোপুরি বিপদমুক্ত নয়, তার প্রমাণ, লন্ডনের কেন্দ্রে কিলিয়াম ফাউন্ডেশনের কার্যালয়ের জানলাগুলিতে বোমা প্রতিরোধী কাচ বসানো আছে৷ কিলিয়াম ফাউন্ডেশনের কর্মীরা উগ্র-ইসলামপন্থিদের থেকে নিজেদের আদর্শগত দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে নিজেরাই ইসলামপন্থিদের আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে পড়েছেন৷

যুবক-কিশোররাই সর্বাগ্রে উগ্রপন্থিদের খপ্পরে পড়ে৷ তাই পূর্ব লন্ডনের ওসমানি যুব কেন্দ্র খেলাধুলার মাধ্যমে সব জাতি ও ধর্মের কিশোর-তরুণদের একসঙ্গে আনার চেষ্টা করছে৷ মজার কথা, ব্রিটিশ গণমাধ্যমে মুসলিমদের ভাবমূর্তি যা-ই হোক না কেন, ব্রিটিশ মুসলিমদের অধিকাংশ নিজেদের ব্রিটিশ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই মনে করেন৷ তাঁরা বলেন, ব্রিটেনই তাদের স্বদেশ৷ অনেকের মতে, ব্রিটেন বিশ্বের সেরা দেশগুলির মধ্যে গণ্য, কেননা এখানে যে ধরনের স্বাধীনতা পাওয়া যায়, তা বিশ্বের অনেক দেশেই বিরল৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য