সদরঘাটের ভাইরাল ভিডিওটি
৬ জুলাই ২০১৬ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘‘ঈদে ঘরমুখো যাত্রীর চাপে সদরঘাটের একটি পন্টুনের রেলিং ভেঙে ভাইবোন নদীতে নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷
মেয়েটির ভাই যার বয়স ছ'বছর, সে এখনো নিখোঁজ৷ ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকালে মিরপুর থেকে সদরঘাটে আসে ওই পরিবার৷ যাত্রীদের চাপে ৯ নম্বর পন্টুনের রেলিং ভেঙে কয়েকজন যাত্রীসহ ওই দুই শিশু বুড়িগঙ্গায় পড়ে যায়৷ অন্যরা সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও দুই শিশু তলিয়ে যায়৷''
এই দুর্ঘটনার ভিডিওটি এখন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ভাইরাল৷ বেসরকারি টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার সাংবাদিক মাহাদি সুমন ভিডিওটি পোস্ট করেছেন ফেসবুক পাতায়৷ সেখানে লিখেছেন, ‘‘নিজের ছোট বাচ্চা মরে গেলেও বাড়ি যাওয়ার স্বপ্ন ঠিকই আছে৷ তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ‘‘ঈদ বড় নাকি নিজের পরিবারের মানুষের জান৷''
এই ভিডিওটি ফেসবুকে ১৩,২৯৯ বার শেয়ার হয়েছে৷ ৩ লাখ ৩৯ বার দেখা হয়েছে ভিডিওটি৷
বছরে দু'টি ঈদ৷ আর এই দুই ঈদের আগেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করে মানুষ৷ স্থল, রেল আর নৌ-পথে শুরু হয় হয়রানি আর দুর্ভোগ৷ প্রতিবার মাত্র তিন থেকে পাঁচ দিনের ছুটি পেলেও এবার ঈদ-উল-ফিতরে ছুটি দেয়া হয়েছে ন'দিন৷ কিন্তু তারপরও ঈদের দু'দিন আগে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের এই ছবি আতঙ্কিত করে তুলছে সবাইকে৷ নিজের জীবনের পাশাপাশি সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ঈদ করতে যাওয়াটা নিজেদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া৷ এভাবে ঈদ করতে যাওয়া নিশ্চয়ই স্বজনরাও মেনে নেবেন না৷ তারা নিশ্চয়ই চান না নিজের আত্মীয় পরিজন এভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হন৷ আপনিও কি চাইবেন ঈদের আনন্দকে বিষাদে পরিণত করতে? তাহলে একটু সচেতন হোন৷ না হয় ঈদের দিন বা পরের দিন বেছে নিন বাড়ি যাওয়ার জন্য৷
এপিবি/ডিজি
বন্ধু, আপনি কি এবারও দেশের বাড়ি যাচ্ছেন? আপনার অভিজ্ঞতা জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷