1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সত্য সাঁই বাবা – এক আধ্যাত্মিক গুরুর পরলোকে গমন

১ মে ২০১১

সত্য সাঁই বাবার প্রয়াণ জার্মান বার্তামাধ্যমের দৃষ্টি এড়ায়নি৷ তাঁকে এক প্রতীকী ব্যক্তিত্ব বলে অভিহিত করা হয়েছে৷ বিশেষ করে তাঁর বহুবিধ সমাজ কল্যাণমুখি কর্মতৎপরতার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে পত্রিকায়৷

https://p.dw.com/p/11786
ছবি: AP

সারা ভারত একটি মাস ধরে রুদ্ধশ্বাসে তার জনপ্রিয়তম আধ্যাত্মিক গুরু সাঁই বাবার মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই-এর খবর অনুসরণ করেছে৷ রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশের পুত্তাপুর্তিতে ৮৬ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি৷এই মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমাপ্তি পেল এক বিস্ময়কর আধ্যাত্মিক ও ঐহিক কর্মজীবন, লিখেছে ‘ফ্রাঙ্কফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং'৷

দরিদ্র গ্রামীণ পরিবেশে সত্যনারায়ণ রাজু নামে যাঁর জন্ম, একসময় সাঁই বাবা নামে জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে অগণন ভক্তের আরাধ্য হয়ে ওঠেন তিনি৷ সাঁই বাবার অলৌকিক নানা কাজের উল্লেখ করে ফ্রাঙ্কফুর্টের এই দৈনিক লিখেছে:

‘‘একেবারে শূণ্যতা থেকে তিনি ছড়িয়ে দেন বিভূতি, বের করে আনেন ছোট ছোট দেবমূর্তি, এমনকি মূল্যবান হাতঘড়ি এবং আরো নানা রকমের জিনিস৷ অসংখ্য বিশ্বাসী সাধারণ মানুষই শুধু নন, উচ্চ শ্রেণীর মানুষরাও এভাবে তাঁর ভক্ত হয়ে পড়েন৷ আবার অন্যরা প্রত্যাখ্যান করেন তাঁকে৷ বিদেশেও তিনি পান অগণিত ভক্ত৷ যাঁরা তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখেছেন, তাঁরা ভক্তি ঢেলে দিয়েছেন অন্ধের মত৷ অন্যরা খারিজ করে দিয়েছেন তাঁকে ততটাই জোরের সঙ্গে৷''

শুধু ভারত নয়, ভারতের বাইরেও বহু দেশে লক্ষ লক্ষ ভক্তের গৃহে শোভা পায় সত্য সাঁই বাবার বহুল পরিচিত ছবি৷ সেকথা উল্লেখ করে এই জার্মান পত্রিকা লিখেছে,‘‘শুধু নিরক্ষর মানুষই নয়, ধনীরাও ভক্তিতে লুটিয়ে পড়েছেন তাঁর সামনে৷ এভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন জাতীয় ঐক্যেরই এক প্রতীক৷''

ইউরোপের মানুষ অবশ্য সহজেই সত্য সাঁই বাবার বহুবিধ সামাজিক সাহায্য কর্মসূচির সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারে৷ ‘ফ্রাংকফুর্টার আলগেমাইনে সাইটুং' লিখছে:

‘‘দেশে ও বিদেশে তাঁর ভক্তদের দেয়া অর্থে তিনি গড়ে তোলেন বিভিন্ন ফাউন্ডেশন৷ তার মাধ্য দিয়ে স্থাপিত হয় হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ এবং বহু কৃষি প্রকল্প৷ তাঁর গড়ে তোলা জলসরবরাহের দৃষ্টান্তমূলক সব ব্যবস্থার কারণে অন্ধ্রপ্রদেশ আর তামিল নাড়ুর বিস্তীর্ণ শুখা জমি হয়ে ওঠে আবার সুফলা৷ সমাজকর্মী হিসেবে তিনি ছিলেন আধুনিক, ভবিষ্যতের স্বপ্নচারী৷ তবে মনে হয়, প্রচলিত সামাজিক কাঠামোগুলোকে বদলে দিয়ে আরো ন্যায়ানুগ করে তোলার কাজে তিনি রাজনৈতিক মহলে তাঁর শক্তিটাকে ব্যবহার করেননি৷ তিনি নিজেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ৯৬ বছর জীবিত থাকবেন তিনি৷ কিন্তু তা পূর্ণ হয়নি৷''

সংকলন: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য