1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে

সমীর কুমার দে, ঢাকা১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

‘‘আমরা বলবো না যে, কিভাবে নির্বাচন হবে৷ তবে নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়, সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে৷'' শুক্রবার এ কথা বলেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি দলের প্রধান জিন ল্যাম্বার্ট৷

https://p.dw.com/p/1HuSV
Narayanganj City Corporation Wahlen Flash-Galerie
ছবি: DW/S. Kumar Day

ইউরোপীয় ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) এই প্রতিনিধি দলটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ বাংলাদেশের স্পিকার, বাণিজ্যমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে৷ তারপর দেশ ছাড়ার আগে, শুক্রবার, রাজধানীর একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিকদের কাছে তাদের পর্যবেক্ষণগুলো তুলে ধরে তারা৷

ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. দেলোয়ার হোসেন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাদের একটা বড় উন্নয়ন অংশীদার৷ সারা বিশ্বেই তাদের একটা নীতি বা অবস্থান আছে৷ সেটা তারা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে থাকেন৷ আমাদের প্রধান রপ্তানি এলাকাও ইউরোপ৷ ফলে তাদের পর্যবেক্ষণগুলো গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেখতে হয়৷’’

তিনি বলেন, ‘‘তারপরও বাংলাদেশের রাজনীতি বা নির্বাচন কেমন হবে তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ৷ কিছুদিন আগে পৌর নির্বাচন শেষ হলো৷ সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন৷ এখানেও সব দল অংশ নিচ্ছে৷ দেশে একটা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে, হচ্ছে৷ আশা করছি ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যহত থাকবে৷''

তিন দিনের সফরের পুরো বর্ণনা দিতে গিয়ে জিন ল্যাম্বার্ড বলেন, ‘‘বাংলাদেশে একটি মানবাধিকার কমিশন আছে৷ সেটাকে আরো কার্যকর করতে হবে৷''

এর আগে বুধবার, মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে এক বৈঠকে ব্লগার বা মুক্তমনাদের সুরক্ষায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছিল ইউরোপীয় প্রতিনিধি দল৷ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান জানান, ‘‘ইউরোপীয় প্রতিনিধি দলটি আরো জানতে চায়যে, এখনও এ দেশে ব্লগাররা হুমকির মধ্যে রয়েছে কিনা৷ তাদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিনিধি দলটি৷''

দেলোয়ার হোসেন

নির্বাচন নিয়ে জিন ল্যাম্বার্ড আরো বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনের জন্য একটি সর্বসম্মত কার্য-পদ্ধতি থাকা দরকার৷ যাতে করে নির্বাচন আরো বেশি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়৷ এতে যেন জনগণের বেছে নেয়ার সুযোগ থাকে৷''

তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি এখানে অনেক সমস্যা রয়েছে৷ তবে এবার এমন কিছু করা দরকার, যাতে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আস্থা আসে৷ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা কী হবে সেটা এ দেশের মানুষ নির্ধারণ করবে৷ কিন্তু নির্বাচনি ব্যবস্থা নিয়ে এখনই আলোচনা হওয়া দরকার৷ এটা রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি আগ্রহী অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও হতে পারে৷ যাদের এ বিষয়ে ধারণা রয়েছে তারাও সরকারকে তাদের মতামত দিতে পারেন৷''

এর আগে ইপি-র এই প্রতিনিধি দলটি বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করে বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করে৷ বৈঠকের পর তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশের শ্রমিকদের কর্মবান্ধব পরিবেশ এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের গৃহীত পদক্ষেপ এবং অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে তারা৷ শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে বিনিয়োগের নিয়মাবলী, সুযোগ-সুবিধা এবং শুল্ক বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷

আপনার কী মনে হয়? বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন কি আদৌ সম্ভব?

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান