সংসদের উচ্চকক্ষে মহিলা সংরক্ষণ বিল গৃহীত
৯ মার্চ ২০১০সংসদে এবং রাজ্য বিধানসভায় মহিলাদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ বিলটি দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গৃহীত হয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায়৷ এটা হলো সংসদীয় অনুমোদনের প্রথম ধাপ৷ এরপর তা যাবে সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায়৷ রাজ্যসভায় বিলের ওপর বিতর্কের জবাবে প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং বলেন, এই বিল ভারতীয় মহিলাদের উত্তরণের লক্ষে এক বিরাট পদক্ষেপ৷ সংখ্যালঘু ও অনগ্রসর শ্রেণীর মহিলাদের জন্য পৃথক কোটা না রাখার সমালোচনার উত্তরে তিনি বলেন, তাঁদের জন্য সংরক্ষণের অন্য ব্যবস্থা আছে৷
তবে বিলের বিরোধীতা করে বহুজন সমাজ পার্টি নেতা এস.কে মিশ্র বলেন, দেশে মহিলাদের সংখ্যা ৫০ শতাংশ, সংরক্ষণ সমানুপাতিক হওয়া উচিত ছিল৷ এটাও এক ধরণের বৈষম্য৷ বিলটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন, বিজেপি, বামদল, কংগ্রেস ও সরকারের অন্যান্য শরিক দলগুলি৷ কিন্তু নাটকীয়ভাবে শরিক দল তৃণমূল কংগ্রেস ভোটদানে বিরত থেকে জোট সরকারে মনান্তরকে সামনে নিয়ে আসে৷ তৃণমূলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী সর্ব দলীয় বৈঠক ডাকার কথা বলেন৷ অথচ তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলেই বিলের ওপর বিতর্ক শুরু করে দেন৷ কংগ্রেস তাতে আমল না দিয়ে বলে যে, জোট সরকারের ঐক্য মজবুত রয়েছে৷
বিতর্ক শুরুর আগে বিল বিরোধী আরজেডি এবং সমাজবাদি পার্টির সাংসদরা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তাঁদের সাতজনকে সাসপেন্ড করে সভা থেকে বের করে দেবার আদেশ দেন চেয়ারপার্সন হামিদ আন্সারি৷ এর প্রতিবাদে, আরজেডি এবং সমাজবাদি পার্টি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেবার সিদ্ধান্ত নেয়৷
মহিলা সংরক্ষণ বিল রাজ্যসভায় পাশ হওয়ায় ডয়চে ভেলের কাছে পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন মালিনী ভট্টাচার্য তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, বিলটি অনেক আগেই পাশ হওয়া উচিত ছিল৷ তবে দেরিতে হলেও, এ বিল পাশ করাতে মহিলাদের সঙ্গে পুরুষরাও সমানভাবে লড়াই চালিয়ে গেছেন৷ কাজেই তারাঁও এই কৃতিত্বের সমান ভাগিদার৷
প্রতিবেদক : অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা : দেবারতি গুহ