1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের দাবি

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৩ মার্চ ২০১৬

সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে শুনানি৷ ২৭ বছর আগে হাইকোর্টে প্রথম এ বিষয়ে রিট আবেদন করা হয়েছিল৷ পাঁচ বছর আগে আরো একটি সম্পূরক রিট হয়৷ দু'টি রিটের শুনানিই একসঙ্গে করা হচ্ছে৷

https://p.dw.com/p/1I6SU
Bangladesch Hindus Überfall Jessore
ছবি: DW

[No title]

ডয়চে ভেলেকে এ কথা জানিয়েছেন রিটের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক৷

১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়৷ এই সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য ছিল ধর্মনিরপেক্ষতা৷ কিন্তু ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশের সংবিধানের মূল চরিত্রটিই পরিবর্তন করে দেন তখনকার স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ৷ সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম করা হয়৷ আর সে বছরই এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন দেশের ১৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক৷ তাঁদের মধ্যে ছিলেন কবি সুফিয়া কামাল, ড. কামাল হোসেন, বিচারপতি দেবেশ ভট্টাচার্য, সিআর দত্ত, ফয়েজ আহরমদ, কামলাউদ্দিন হোসেন প্রমূখ৷ তখনই আদালত রুল ইস্যু করেন৷

এরপর ২০১১ সালে সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করার জন্য আরেকটি সম্পূরক রিট হয় হাইকোর্টে, এবং তাতেও রুল ইস্যু হয়৷

অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক জানান, ‘‘সোমবার দু'টি রিট এক করে শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চে৷ বিচারপতি নাইমা হায়দার এই বেঞ্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন৷ চলতি মাসের ২৭শে মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷''

এ কে এম জগলুল হায়দার বলেন, ‘‘আমাদের আবেদনের মূল কথা হলো রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করার মাধ্যমে সংবিধানের অসাম্প্রদয়িক চরিত্রকে ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে৷ এর মাধ্যমে একটি মাত্র ধর্মকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে বাংলাদেশে৷''

তাঁর কথায়, ‘‘সংবিধানের মূল নীতি পরিবর্তন করা যায় না৷ আর ঠিক সেটাই করা হয়েছে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে সংবিধানে স্থান দিয়ে৷''

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘আমরা মনে করি, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, নির্যাতন এবং জঙ্গিবাদের মূল কারণ ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা৷ তাই আমরা এর অবসান চাই৷''

জানা গেছে, এই রিট আবেদনটি দীর্ঘ সময় পর হলেও শুনানির কার্যতালিকায় আসায় জীবিত রিটকারীরা আবার আশান্বিত হয়েছেন৷ তাঁরা মনে করছেন, এই রিটের নিস্পত্তির মাধ্যমে সংবিধানের সাম্প্রদয়িক চরিত্রের অবসান ঘটবে৷

অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার বলেন, ‘‘সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৭২ সালে সংবিধানে এখনো আমরা পুরোপুরি ফিরে যেতে পারিনি৷ ফিরে যেতে হলে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করতে হবে৷ আমরা আশা করি, আদালত থেকে সেই রায় পাবো৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান