শোনেন বলি কফির দেশের কথা
অনেকেই কফি পছন্দ করেন৷ কফির গুণও আছে অনেক৷ কিন্তু কবে, কোথায় কফির জন্ম তা বোধ হয় অনেকে জানেন না৷ ছবিঘরে থাকছে সেসব কথা৷
কফি তো নয় যেন কালো সোনা!
হ্যাঁ, কফিকে অনেকে কালো সোনা বলে ডাকেন৷ কারণ কফি হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি হওয়া বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পণ্য৷ পেট্রোলিয়ামের পরেই এর অবস্থান৷
যেখানে শুরু
দেখছেন ইথিওপিয়ার বঙ্গা শহরের ছবি৷ সেখানেই প্রায় দেড় হাজার বছর আগে কফি নামে পানীয়টির জন্ম৷ যদিও কফিপ্রেমী খুব কম মানুষই জানেন এই তথ্য৷
এক ছাগলপালকের কাছে আপনি ঋণী!
কফি যদি আপনার প্রিয় হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে এক ছাগলপালককে ধন্যবাদ জানাতে হবে৷ কারণ কালদি নামের ঐ মানুষটিই কফির উদ্ভাবক৷ ছবিতে যে লাল ফলগুলো দেখছেন কালদির ছাগলগুলো সেগুলো খেয়ে চনমনে হয়ে উঠেছিল৷ বিষয়টি লক্ষ্য করে কালদি নিজেও ঐ ফল খেয়ে দেখেন৷ তারপরই ইতিহাসের শুরু৷ এখন অনেকের প্রতিদিনকার সকাল শুরুই হয় এই ফলজাত পানীয় কফি দিয়ে৷
যেভাবে নামকরণ
কফি নামটি এসেছে কাফা থেকে৷ বঙ্গা শহরটি ইথিওপিয়ার যে রাজ্যে অবস্থিত তার আগের নাম ছিল কাফা৷ আর এখনকার নাম ওরমিয়া৷
এর চেয়ে বেশি অর্গানিক হতে পারে না
ইথিওপিয়ায় যে কৃষকরা কফি চাষ করেন তাদের নেই দামি যন্ত্রপাতি, নেই ভালো সার দেয়ার ক্ষমতা৷ ফলে তারা যে কফি উৎপাদন করেন তার চেয়ে বেশি অরগ্যানিক আর ভেজালমুক্ত হওয়া সম্ভব নয় অন্য কোনো কফির৷
আফ্রিকার মধ্যে প্রথম
কফির জন্ম ইথিওপিয়ায়৷ তবে কফি উৎপাদনে দেশটির অবস্থান এখন বিশ্বে পঞ্চম৷ অবশ্য আফ্রিকায় আর অন্য কোনো দেশে ইথিওপিয়ার চেয়ে বেশি কফি উৎপাদিত হয় না৷ সেখানকার প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষের জীবন কফি চাষের উপর নির্ভরশীল৷
ছয় হাজার রকম!
বলা হয়, ইথিওপিয়ানরা নাকি প্রায় ৬ হাজার রকমের কফি তৈরি করতে পারে৷ যেমন জবা আর কমলা মেশানো কফি, যা খেতে মিষ্টি ওয়াইনের মতো; কিশমিশ, রক্তবেগুনি আর আম মেশানো কফি; স্ট্রবেরি, চেরি আর লিচু মেশানো কফি ইত্যাদি৷
বঙ্গাকে পরিচিত করার উদ্যোগ
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী হাইলেমারিয়াম ডেসালেগেন গত বছর বঙ্গায় নতুন একটি কফি জাদুঘর উদ্বোধন করেছেন৷ বঙ্গাকে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত করে তোলার বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে এটি একটি৷